'পথকুকুরদের খাবার দেওয়ার পর সেই জায়গা পরিষ্কার করতে হবে', বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
আজ তক | ১৩ আগস্ট ২০২৫
দিল্লি-এনসিআরের সব রাস্তা থেকে সমস্ত পথকুকুর সরাতে হবে। সোমবার দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীদের একাংশ। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, পথকুকুরদের খোলা জায়গায় খাবার দেওয়া যাবে না। দিলেও খাবার দেওয়ার পর সেই জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। পথকুকুরদর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টেও বেড়েছে কুকুরদের আনাগোনা-তা নিয়ে সার্কুলার জারিও করা হয় কোর্টের তরফে। সেখানে উল্লেখ, 'দেখা গেছে, সুপ্রিম কোর্ট কমপ্লেক্সের ভিতর ও আশপাশে লিফটের ভিতর ঢুকে বসে থাকছে কুকুর। এগুলো কাম্য নয়।' এই বিষয়ে যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কোর্টের তরফে।
প্রায় দেখা যায় রাস্তাঘাটে পথকুকুরদের খাবার দেওয়া হয়। সারমেয়রা সেই খাবার খাওয়ার পরও অবশিষ্ট অংশ সেখানে পড়ে থাকে। তাতে এলাকা নোংরা হয়। কুকুররা খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি মুখে করে টেনে টেনে এখানে সেখানে নিয়ে যায়। সেই বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়।
কোর্টের সাফ নির্দেশ, 'কুকুরকে খাওয়ানোর পর যে খাবার রাস্তায় পড়ে থাকবে তা ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। কোনও অবস্থাতেই খোলা জায়গায় তা রাখা যাবে না। খোলা জায়গায় রাখলে পরিবেশ নোংরা হবে। খাবারের সঠিক প্রয়োগের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রাণীরা খাবার খাওয়ার জন্য ডাস্টবিনের ভিতর ঢুকে পড়ে। সেখানকার নোংরা যেখানে সেখানে নিয়ে এসে ফেলে দেয়। ডাস্টবিনের খাবার খেলে কুকুরের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। আবার কামড়ানোর সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সবার নিরাপত্তার জন্য এই নির্দেশ কার্যকর করা আবশ্যক।'
শুধু তাই নয়, এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন দিল্লির পুরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক সম্পন্ন করেছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, দিল্লি-এনসিআর এলাকার সমস্ত পথকুকুরকে অবিলম্বে ধরতে হবে। তাদের নির্বীজকরণ করিয়ে পাঠাতে হবে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রয়োজন বলপ্রয়োগ করে পথকুকুরদের ধরতে হবে। কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে।
এই নির্দেশের বিরুদ্ধে পশু অধিকার কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করেন। দিল্লি গেটে কয়েকজন বিক্ষোভ দেখালে তাঁদের বিরুদ্ধে FIR করা হয়।