আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরে দুর্গাপুজোর নিরপত্তার ব্যবস্থ আগাম খতিয়ে দেখতে সোমবার সল্টলেকে একে, এফসি, বিসি সহ একাধিক ব্লকে নির্মীয়মান প্যান্ডেলে ঘুরে দেখলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসাররা। প্যান্ডেলের নিরাপত্তায় কী করা হয়েছে, ভিড় সামলাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক পরিষেবার জন্যে কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সেবিষয়ে খোঁজখবর নেন পুলিশকর্তারা।
আলাদা করে পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা। একে ব্লকে পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাজা বণিক বলেন, পুলিশের তরফে গতবারের তুলনায় অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা বলা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি পরামর্শ তারা দিয়েছেন। সেসব আমরা বাস্তবায়িত করব। গত সপ্তাহেই তাদের আওতাধীন এলাকায় সুষ্ঠুভাবে পুজো আয়োজনে দমকল, বিদ্যুৎ দপ্তর, বিধাননগর পুরনিগম, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। এক কর্তা বলেন, খুব তাড়াতাড়ি থানাভিত্তিক পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
বিভিন্ন থানা পরিদর্শনের পাশাপাশি পুজো নিরাপত্তাতেও জোর দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার। একটি বৈঠকের ডাক দেওয়া হবে। সেখানে বিভিন্ন থানার ওসি, এসি ও ডিসিদের ডাকা হবে। এছাড়া বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা কলকাতা পুরসভা, সিইএসসি, দমকল ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিদের। পুজোর সময় বিভিন্ন মণ্ডপের নিরাপত্তা নিয়ে এই বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতি বছরই পুজোর আগে এই বৈঠক হয়।
এই বছর দুর্গাপুজো সেপ্টেম্বরের শেষেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী। গত বছর রাজ্যের ক্লাবগুলিকে দুর্গাপুজো আয়োজনের জন্য ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এবার সেই অর্থ হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে পরিবেশবান্ধব পুজো, শব্দবিধি, যান চলাচল ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক দিক নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই বছরের বৈঠকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দিকে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠকে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উদ্দেশ্য, দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে তুলে ধরা।উৎসবের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ, জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই বৈঠক ছিল।