• নদীতে তলিয়ে যাচ্ছিলেন যুবক, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন আরও চারজন, হুলুস্থুল পরিস্থিতি কালনায় ...
    আজকাল | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহিষমর্দিনী পুজো উপলক্ষে হাওড়া থেকে বেড়াতে এসে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে নিখোঁজ এক যুবক। নিখোজ ওই যুবকের নাম অনির্বাণ রায়। ঘটনায় মোট পাঁচজন তলিয়ে গেলেও চারজনকে উদ্ধার করা গিয়েছে।  বাকি একজন এখনও নিখোঁজ। বিষয়টি ঘিরে চাঞ্চল্য কালনা থানার অন্তর্গত পুরাতন হাট ভাটা সংলগ্ন ঘাটে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এদিন মঙ্গলবার দুপুরে। জানা গিয়েছে পাঁচজন এদিন মঙ্গলবার দুপুরে স্নান করতে নামে ভাগীরথী নদীতে। আচকাই অনির্বাণ তলিয়ে যায়। 

    ঘটনাচক্রে অনির্বাণ সাঁতার জানত না। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বাকি ৪ জন্য তলিয়ে যায়। এরপরই কোনোরকমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় চারজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে এখনও নিখোঁজ অনির্বাণ রায়। স্বপন বিশ্বাস নামের এক যুবক  কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গিয়েছে, হাট কালনা পঞ্চায়েতের শিবাজি নগরে স্বপন বিশ্বাসের বাড়িতেই এসেছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেই স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ওই যুবক। 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে হুগলির মাহেশের সুরকি ঘাটে। স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী, যিনি এলাকায় বুড়ো নামে পরিচিত, গঙ্গায় স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক (এসডিও) শম্ভুদীপ সরকার, এসিপি শুভঙ্কর বিশ্বাস, শ্রীরামপুর ও রিষড়া পুরসভার দুই পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা ও বিজয় সাগর মিশ্র এবং শ্রীরামপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান অমিয় মুখার্জি। প্রতিনিধিদল ঘাট এলাকা ঘুরে দেখেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পরবর্তীতে এসডিও শম্ভুদীপ সরকার জানান, সাময়িকভাবে সুরকি ঘাটটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‌এই ঘাটে এখন থেকে কেউ স্নান বা অন্য কোনও কাজ করতে পারবেন না। সুরকি ঘাট গঙ্গার একটা বিপজ্জনক বাঁকে আছে। তাই স্রোতের টান বেশি। বারবার এখানে জলে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।’‌

    উল্লেখ্য, খুব কম সময়ের মধ্যে এই ঘাটেই চারজনের মৃত্যু হয়েছিল গঙ্গায় ডুবে। গত ২৫ মে চার নাবালক স্নান করতে নেমে ডুবে যায় সুরকি ঘাটে। ওইদিন আরও এক ব্যবসায়ী তলিয়ে গেলেন। বারবার এমন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে স্থায়ীভাবে ঘাটটি কীভাবে আরও নিরাপদ করা যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ারও দাবি তুলেছেন তাঁরা। 

    এর আগে গত এপ্রিল মাসে উত্তরপাড়া থানার অন্তর্গত কোন্নগর বারোমন্দির গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে নেমে গঙ্গায় তলিয়ে গেছিল দুই স্কুল ছাত্র। স্পিড বোট নিয়ে তল্লাশি চালায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কোন্নগর অ্যালকালি মাঠে খেলতে আসে কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া। খেলা শেষ হয়ে গেলে একসঙ্গে পাঁচজন ছাত্র কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটে গঙ্গাস্নান করতে যায়। স্নান করতে করতে হঠাৎই দু'জন তলিয়ে যায়। তিনজন উঠে গেলেও বাকি দু'জন আর জল থেকে উঠতে পারেনি।
  • Link to this news (আজকাল)