বিজেপি বিরোধী রাজ্যে কেন, গোটা দেশেই এসআইআর হোক, ভেঙে দিন লোকসভা, দাবি অভিষেকের
বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুধুমাত্র বিজেপি বিরোধী রাজ্যতে কেন, গোটা দেশেই এসআইআর হোক, এমনই দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘আপনি নির্বাচিত হয়েছেন, আপনার ভোটার লিস্টে গরমিল নেই। অথচ আমি নির্বাচিত হয়েছি, আমার ভোটার লিস্টে গরমিল রয়েছে, এটা তো হতে পারে না। এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না। এই ভোটার লিস্ট ধরেই গত লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার নির্বাচন হয়েছে। তাহলে সেখানকার সরকার গড়তে যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁরা ভুয়ো ভোটার। এই ভোটার লিস্ট ধরেই লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। যার ভোটে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে। তাহলে আমি বলব আপনারা সকলে আগে পদত্যাগ করুন। লোকসভা ভেঙে দিন। বিজেপি নেতাদের বা এনডিএ শরিকদের বলব, আপনারা শুরু করুন। তৃণমূলের যত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন বা বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির সব সাংসদ পদত্যাগ করবেন। তারপরে আপনারা এসআইআর করুন। লোকসভা ভেঙে দিয়ে সারা দেশে এসআইআর হোক।’ একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, ‘তর্কের খাতিরে যদি ধরে নিই কমিশন ঠিক, ভোটার লিস্টে যদি গরমিল থাকে, তা হলে তো প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা উচিত। এফআইআর করা উচিত। কারণ তাঁর তত্ত্বাবধানে, তাঁর নজরদারিতেই এক বছর আগে লোকসভা ভোট হয়েছিল।’গতকাল, সোমবার এসআইআর ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে অভিযান করে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। সেই অভিযানকে কেন্দ্র ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করা হয়। মহিলা সাংসদদের চুলির মুঠি ধরে হেনস্তা করে দিল্লি পুলিস। যদিও ইন্ডিয়া জোটের মিছিলটি ছিল শান্তিপূর্ণ। তারপরেও দিল্লি পুলিসের এই আচরণে ক্ষুব্ধ অভিষেক। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলছিল গতকাল। অশান্তি ছিল না। ৩০০ জনপ্রতিনিধি গিয়েছিলেন, ৫ থেকে ৭টি প্রশ্নের জবাব চাইতে। নির্বাচন কমিশনের অফিস পর্যন্ত পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। মহিলা সাংসদদের চুলের মুঠি ধরে নিয়ে গিয়েছে অতিসক্রিয় দিল্লি পুলিস। বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে দিল্লি পুলিস। এসসি, এসটি সাংসদদের হেনস্তা করা হয়েছে।’ পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ এদিন এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেড়, বাংলায় ভোটার লিস্ট থেকে কারোর নাম বাদ গেলে আগামী দিনে ১ লক্ষ লোক নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করব।