কলকাতা হাইকোর্টের গেটের সামনে এক মহিলার আত্মহত্যার চেষ্টা, পুলিসের তৎপরতায় এড়ানো গেল বড় বিপদ
বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সকালে চরম কর্মব্যস্ততার মাঝেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। কলকাতা হাইকোর্টের ই গেটের সামনে ধর্না দিতে দিতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। পুলিসের তৎপরতায় এড়ানো গেল বড় বিপদ। তবে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাইকোর্টের সামনে। জানা গিয়েছে, পূর্ণিমা হালদার, সুতিষ্ণা সাঁপুই, বন্দনা নস্কর নামের তিন মহিলা আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ই গেটের সামনে ধর্না ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।সেই বিক্ষোভের মাঝেই আচমকাই পূর্ণিমা হালদার নামের এক মহিলা নিজের ব্যাগ থেকে কেরোসিন ভর্তি বোতল বের করে গায়ে ঢেলে দেন। তারপরেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতেই পুলিস আটকে দেন। ওই তিন মহিলাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই হেয়ার স্ট্রিট থানার তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরায় তাঁরা বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমগাছিয়া সৃষ্টি সঙ্ঘ প্রাথমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডে চলতি বছরে ভোট হয়। সেই ভোটের সময়ে বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম বাদ পড়ে। সেই বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছেন বিক্ষোভরত মহিলাদের মধ্যে দু’জন। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়।আদালত নির্দেশ দেয় নতুন করে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যদিও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওই সমবায় সমিতি। এমনটাই অভিযোগ। সঙ্গে ওই বিক্ষোভরত মহিলাদের অভিযোগ, সমবায় সমিতিটি অনেক দিন ধরে চড়া সুদের আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছে। এখন সেই টাকা আর ফেরত দিচ্ছে না। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত তাঁরা। তাই আদালতের সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা।