'ভুয়ো থানা' চালানো প্রাক্তন TMC নেতার একাধিক কলেজ-ওষুধের কারখানা, ধনকুবের বিভাসের কত সম্পত্তি?
আজ তক | ১২ আগস্ট ২০২৫
নয়ডায় থানা খুলে প্রতারণায় গ্রেফতার হন বীরভূমের বিভাস অধিকারী প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর বিভাসের নাম উঠে এসেছিল। বীরভূমের নলহাটি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও, তাঁর একগুচ্ছ কারবারির পর্দা ফাঁস হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যোগ
শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর, তৃণমূল কংগ্রেস বিভাসের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে। এরপর তিনি তৃণমূল ছেড়ে 'অল ইন্ডিয়া আর্য মহাসভা' নামে নিজস্ব একটি রাজনৈতিক দল চালাতেন। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ৭ জন প্রার্থীকে মনোনীত করেছিলেন তিনি।
নিজের আয়ুর্বেদিক ওষুধ কারখানা, বি.এড কলেজ
এখানেই শেষ নয়। রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী, একাধিক ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত বিভাস। কৃষ্ণপুর এলাকায় একটি আশ্রম চালান। বীরভূমে বেশ কয়েকটি জায়গায় আশ্রম ছাড়াও, তাঁর একটি আয়ুর্বেদিক কলেজ, আয়ুর্বেদিক ওষুধ কারখানা, বি.এড কলেজ, ডি.এড কলেজ, নার্সিং কলেজ রয়েছে। বীরভূমে নিজের বাড়ির পাশাপাশি কলকাতা এবং দিল্লিতেও ফ্ল্যাট রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরই এই বিভাস অধিকারীর নাম উঠে এসেছিল। সেই সূত্র ধরেই তল্লাশি অভিযান চলে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর থেকে বিভাসের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এরপর থেকেই তাঁর খোঁজ চলছিল।
একের পর এক কুকীর্তি ফাঁস হতেই নয়ডায় ভুয়ো থানা কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় বিভাসকে। তদন্তে নেমে নয়ডা পুলিশ কলকাতার বুকে তার রমরমা দুর্নীতির কারবারি ফাঁস করে। এরপর জানা যায়, বেলেঘাটাতেও প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছিল বিভাস ও তাঁর ছেলে। তদন্তকারীদের দাবি, বাবা-ছেলে মিলে বেলেঘাটাতেও একটি নকল থানা খুলেছিল।