'লোকসভা ভেঙে দেওয়া হোক, আমরা সবাই...', এসআইআর ইস্যুতে অভিষেক মনে করালেন 'এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না' ...
আজকাল | ১২ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর ইস্যুতে উত্তাল দেশ। বাংলা থেকে বেঙ্গালুরু, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর চড়িয়েছে তীব্রভাবে। সেই ইস্যুতেই আরও এক কদম এগিয়ে অভিষেকের বার্তা। একযোগে তোপ দাগলেন কেন্দ্রকে, নির্বাচন কমিশনকে। সঙ্গে মোদি সরকারের সামনে দিলেন একেবারে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে করালেন, যদি ভোটার তালিকায় গরমিল থেকে থাকে, তাহলে কেন্দ্রের সরকার সেই গরমিল তালিকার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে। যদি এসআইআর করতেই হয়, তাহলে ওই গরমিল তালিকার ভিত্তিতে জিতে আসা জনপ্রতিনিধিদের উচিত পদত্যাগ করে, নতুন ভোট করানো। দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত কেন্দ্রের।
মঙ্গলবার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখমুখি হন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। এসআইআর ইস্যুতে কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। প্রশ্নও তোলেন একাধিক। প্রধান প্রশ্ন, কেন জোর করে এসআইআর করা হবে? তার থেকেও বড় বক্তব্য অভিষেকের- 'আমি যদি নির্বাচন কমিশনের কথা ঠিক ধরেও নিই, যে ভোটার তালিকায় বা ইলেক্টোরাল রোল-এ গরমিল রয়েছে, তাহলে প্রথম ধাপ কী হওয়া উচিত? এই ইলেক্টোরাল রোল বা ভোটার তালিকার ভিত্তিতে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, এক বছর আগে যে নির্বাচন হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, সরকার তৈরি হয়েছে। এতে ভুল, গরমিল থাকলে, সমগ্র কেন্দ্র সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত।'
মমতার প্রসঙ্গে তুলে অভিষেক এদিন বলেন, 'আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দলের সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জি, ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধরেছিলেন এক ব্যক্তির একই এপিক নম্বরে গুজরাটের ভোটার তালিকায়, উত্তরপ্রদেশের ভোটার তালিকায় এবং বাংলার ভোটার তলিকায় নাম রয়েছে।' কংগ্রেসের প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে অভিষেকের কথায়।
মঙ্গল সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, অভিষেক প্রশ্ন করেন, নির্বাচন কমিশনের উপর প্রশ্ন উঠলে, বিজেপি রক্ষা করবে কেন? অভিষেক বলেন, 'এই ভোটার তালিকায় গরমিল থাকলে, প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত, তৎকালীন চিফ ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল প্রসিডিং শুরু করা। তাঁর তত্বাবধানে যে ভোট একবছর আগে হয়েছিল, সেখানে ভোটার তালিকায় গরমিল, ভুয়ো ভোটার, বাংলাদেশি থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল প্রসিডিং শুরু করে, সেই ভোটার তালিকার ভিত্তিতে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছে, সকলের পদত্যাগ করা উচিত। তাঁরা পদত্যাগ করলে, প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ করা উচিত।
অভিষেকের সাফ বক্তব্য, তালিকায় গরমিল থাকলে, পদত্যাগ করুন তাঁরা। তাহলে গোটা দেশ এসআইআর-কে স্বাগত জানাবে। তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'বিজেপি শুরু করুক। আমরা সবাই পদত্যাগ করব। লোকসভা ভেঙে দিয়ে, গোটা দেশে এসআইআর হোক। কেউ নিষেধ করেনি।'
তাঁর কথায় সোমবারের প্রসঙ্গও উঠে আসে। সোমবার বিরোধীরা সংসদ থেকে নির্বাচন সদন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তর পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু পথ আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। রাস্তায় বসে পড়েন অখিলেশ, ব্যারিকেডেও ওঠেন। ব্যারিকেডে উঠে স্লোগান দেন মহুয়া মৈত্ররাও। পুলিশ তাঁদের আটক করে, গ্রেপ্তার করে। অসুস্থ হয়ে পড়েন মিতালী-মহুয়া।