আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে রাজ্যে ফের খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। এবার বাঁকুড়ার বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার চকাই গ্রামে গুলিতে খুন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী। নিহতের নাম সেকেন্দার খান। বাড়ি ওই গ্রামেই। সোমবার গভীর রাতে রাস্তার মধ্যে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং গোটা গ্রামে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে পঞ্চায়েতের ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে চকাই গ্রামে দুই পাড়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। সেই সময় তৃণমূল বুথ সভাপতি নাসিম শেখকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে সেকেন্দার খানের বিরুদ্ধে। পুলিশ সেকেন্দার-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।
সোমবার রাতে, ওই মামলার মূল অভিযুক্ত সেকেন্দার খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি পুরনো শত্রুতার জেরে ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে হত্যার নেপথ্যের কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রামে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গত শনিবার ৯ আগস্ট কোচবিহারে একটি বাজারের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূলের এক যুব নেতাকে। অমর রায় নামে ওই নেতার বাবা একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। জেলার ডোডেয়ার হাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল পুরনো বিবাদের জেরে খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই যুব নেতা।
কোচবিহারে খুনের পর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছিল যেভাবে শাসকদলের যুব নেতাকে খুন করা হয়েছিল তাতে এটা পরিষ্কার দুষ্কৃতীরা একেবারে তৈরি হয়েই এসেছিল। পাশাপাশি বাঁকুড়াতেও প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সেকেন্দার যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন তুলনামূলকভাবে একটি ফাঁকা জায়গায় তাঁকে ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এরা সকলেই বাইক নিয়ে এসেছিল। এরপরেই পরপর সেকেন্দারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় বলে খবর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে সেকেন্দার। পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙরে একটি বাজারের কাছে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন এক তৃণমূল নেতা। গুলি করার সঙ্গে ওই নেতাকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। এরপর খুন হন হুগলির কোন্নগরে কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্না। নৃশংসভাবে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হতে হয়েছিল ওই তৃণমূল নেতাকে। কোন্নগরের এই ঘটনার পর উঠে আসে একসময়কার ত্রাস 'বাঘা'র ভূমিকার কথাও। বাঘার মদতেই তার ভাই ভারাটে খুনি লাগিয়ে পিন্টুকে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত আছে তা জানতে চাইছে পুলিশ।