• প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে শুনানিতেও SSC-র ছায়া
    এই সময় | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়: এসএসসি–র পরে প্রাথমিক নিয়োগ মামলাতেও উঠল ‘যোগ্য-অযোগ্য’ প্রসঙ্গ। প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি খারিজ মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘কারা বিশেষ সুবিধে পেয়েছেন, আর কারা তা পাননি — সেটা আদালত আলাদা করবে কী ভাবে?’

    এ দিন শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়া ওই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের একাংশের আইনজীবী দাবি করেন, ‘আমরা কোনও বিশেষ সুবিধে পাইনি।’ তার জবাবেই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কারা বিশেষ সুবিধে পেয়েছেন আর কারা পাননি, সেটা কোর্ট কী ভাবে আলাদা করবে?’ ২১ অগস্ট পরবর্তী শুনানি।

    এ দিন শুনানিতে যে ‘যোগ্য–অযোগ্য’ প্রসঙ্গ ওঠে, বছরদুয়েক আগে সেই একই প্রশ্ন উঠেছিল হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। এসএসসি–র মামলা চলাকালীন বিচারপতি বসাকও বারবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য’ আলাদা করা যাবে কী ভাবে?

    কিন্তু প্রতিবারই এসএসসি ধোঁয়াশা রেখে উত্তর দেয়। যার জেরে ওই আদালত চূড়ান্ত রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য করে, ‘চাল আর কাঁকড় আলাদা করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই গোটা প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিতে বাধ্য হচ্ছে ডিভিশন বেঞ্চ।’ এ দিন প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতেও কাকতলীয় ভাবে সেই একই প্রশ্ন ওঠায় কিছুটা অস্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    এ দিন শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী শিক্ষকদের কয়েকজনের আইনজীবী। তাঁর দাবি, সিঙ্গল বেঞ্চ যে ভাবে এজলাসে ডেকে ডেকে কাউন্সেলিং নিয়ে পরীক্ষকদের কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন করেছে, তা করা যায় না। যদিও ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, ‘এটা দুর্নীতির প্রশ্ন, প্রতারণার প্রশ্ন।’

    তবে ওই আইনজীবীর দাবি, ‘ইন্টারভিউ, ভাইভা, অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার কথা সিলেকশন কমিটির। সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছে, তেমন কোনও কমিটিই ছিল না। এটা তো পরস্পর–বিরোধী পর্যবেক্ষণ! কারণ সিলেকশন কমিটি না–থাকলে ভেরিফিকেশন হবে কী করে?’ এতে ডিভিশন বেঞ্চের পাল্টা প্রশ্ন, ‘ক’জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল? তাঁরা কি একই জেলার?’ আইনজীবীর দাবি, ‘বিক্ষিপ্ত ভাবে এটা নেওয়া হয়েছে। একজন বিচারপতি কী ভাবে তা করেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি যে কাউকে ডেকে সাক্ষ্য নিতে পারেন না।’

  • Link to this news (এই সময়)