সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে এবং আগামীতে ভোটে দাঁড়ালে জয় নিয়েও সংশয় আছে বলে মন্তব্য করে শোরগোল ফেললেন বারাসতের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক, অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। আগামী বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হতে চান না, এমনটাও ফের জানিয়েছে তিনি। সঙ্গে অবশ্য এ-ও বলেছেন যে, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তই শেষ কথা।
বারাসতে একটি রক্তদান শিবিরে এসে চিরঞ্জিত বলেছেন, “আমি কী করে জিতি, জানি না! ভোটারেরা কেন আমাকে ভোট দেন, তা-ও জানি না! তবুও জিতেছি।” তাঁর ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা নেই জানিয়ে বিধায়কের সংযোজন, “বুঝতে পারছি, ২০১১-য় ভোটে দাঁড়ানোর সময়ে যে জনপ্রিয়তাটা আমি পেয়েছিলাম, সেটা আস্তে আস্তে কমছে। আগামী দিনে ভোটে দাঁড়ালে জিতব কি না, জানি না!” চিরঞ্জিত আরও বলেছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯ অগস্ট ডেকেছেন। বেশি কিছু চাইলে দিতে পারব না। দেখা যাক মমতা কী করেন। ওঁর কথাই শেষ কথা। নেত্রী বললে না করতে পারি না।” প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে প্রার্থী হতে চান না বলেও শেষমেশ বারাসত থেকেই তৃতীয় বারের জন্য জিতেছিলেন চিরঞ্জিত।
চিরঞ্জিতের এমন মন্তব্য বারাসতে দলের ‘সম্ভাব্য প্রার্থী’ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চর্চা বাড়িয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, একাধিক বিধায়ক, এক প্রভাবশালী নেত্রীর নিকটাত্মীয়, স্থানীয় দুই নেতা বারাসত থেকে প্রার্থী হতে চেষ্টা করছেন। যদিও যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন চিরঞ্জিতের সঙ্গেই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। চিরঞ্জিত নিজের বক্তব্য বলেছেন।”