‘এসআইআরকে স্বাগত জানাবে সারা দেশের মানুষ…’, কী শর্ত দিলেন অভিষেক?
প্রতিদিন | ১২ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআরের বিরোধিতায় সোমবার দিল্লিতে বিরোধীদের নির্বাচন কমিশন দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচিতে নজিরবিহীন অশান্তি। কমিশনের দপ্তরে মিছিল পৌঁছনোর আগেই দিল্লি পুলিশের দমনপীড়নের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন মহিলা সাংসদ। সেই তালিকায় ছিলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, মিতালি বাগরা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, আসলে নির্বাচন কমিশনের কাছে এসআইএর নিয়ে কোনও সদুত্তর নেই। তাই বিরোধীদের মুখোমুখি হচ্ছেন না কমিশনের কর্তারা।
এর পাশাপাশি অভিষেক বড়সড় একটি দাবিও তোলেন। তাঁর মতে, যদি আপনারা ঠিক হন অর্থাৎ যদি মেনে নেওয়া হয় যে ভোটার তালিকায় কারচুপি হয়েছে, তাহলে প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত, তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। কারণ, তাঁর নেতৃত্বেই ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার তৈরি হয়েছে, যা অবৈধ বলে গণ্য হওয়া উচিত। যদি তা করা হয়, তবে গোটা দেশের মানুষ এসআইআরকে স্বাগত জানাবেন বলে মত অভিষেকের।
মঙ্গলবার সকালে দিল্লি যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সোমবার বিরোধীদের কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে দিল্লি পুলিশের ‘বর্বরতা’র অভিযোগ তুলে কার্যত ফুঁসে ওঠেন। এরপরই তাঁর যুক্তি, ”আমরা তো ৪,৫টা প্রশ্ন নিয়ে কমিশনের কাছে গিয়েছিলাম। সেসবের কোনও সদুত্তর নেই বলে তাঁরা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। বিরোধীরা সবাই বলছে যে কমিশনের এসআইআর সিদ্ধান্ত ভুল। আচ্ছা, আমি ধরে নিলাম যে কমিশনই ঠিক। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের দরকার আছে। ভুয়ো ভোটার বাছতে এই সিদ্ধান্ত সঠিক। কিন্তু তাহলে তো প্রশ্ন ওঠে, ২০২৪ সালের নির্বাচন তো আগের ভোটার তালিকা অনুযায়ী হয়েছে। যদি সেই তালিকায় কারচুপি থাকে, ভুয়ো ভোটার থাকে, তাহলে সেই ভুয়ো ভোটারদের দ্বারাই কেন্দ্রের সরকার নির্বাচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নির্বাচিত হয়েছেন। সেটা তো অবৈধ হয়ে যায়। তাই তাঁরা আগে পদত্যাগ করুন। আমার প্রথম কথা, তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মামলা শুরু হোক। তাহলে গোটা দেশের মানুষ এসআইআরকে স্বাগত জানাবে, আমি বলছি। আপনারা শুধুমাত্র বিরোধী রাজ্যগুলিতে এসআইআর করে আসল ভোটারের নাম বাদ দেবেন, তা তো হবে না।”