বিক্রম দাস: টার্গেট ২০২৬, আজ দিল্লিতে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। দলের নতুন অফিস ২০ নম্বর রাজেন্দ্র প্রসাদ রোডে হবে বৈঠক। মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে SIR নিয়ে সংসদে লড়াইয়ের রণকৌশল-আলোচনা। বাংলাকে অপমান ইস্যুতেও আলোচনা হবে বৈঠকে।মঙ্গলবার দিল্লি রওনা দেওয়ার আগেই সোমবারের মিছিল নিয়ে মুখ খুললেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসাদ। তোপ দাগলেন দিল্লি পুলিসের অতিসক্রিয়তা নিয়েও।
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, 'সোমবার মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। ৩০০ জনের বেশি জনপ্রতিনিধি কমিশনে জবাব চাইতে গিয়েছিলেন। কমিশনের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। মহিলা সাংসদদের জোরজবরদস্তি আটক করা হয়েছে। কাল যা দেখেছেন এটা সবে শুরু। একজন ভোটারকেও বাদ দেওয়া হলে যে ভাষা বিজেপি বোঝে, জবাব দিতে জানি। বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।'
অভিষেকের সাফ কথা, 'বিরোধীরা সবাই বলছে, কমিশন ভুল। ভোটার তালিকা ভুল হলে তত্কালীন কমিশনারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হোক। যারা নির্বাচিত হয়েছে, তাদের পদত্যাগ করা উচিত। এটা স্পষ্ট যে নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনও উত্তর নেই—কেন ডিজিটাল ভোটার লিস্ট দেওয়া হবে না? কেন জোর করে বিরোধী দলের রাজ্যগুলিতে এই কাজ করা হচ্ছে? আমার মতে প্রথম ধাপে যাঁরা এই ভুলভ্রান্ত ভোটার লিস্টের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে পদত্যাগ করা উচিত।'
সাসংদের তোপ, 'নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠলে বিজেপি কেন তাদের হয়ে সাফাই গাইবে? বাংলার একজন মানুষের নাম যদি ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়, আমি এক লাখ মানুষ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাব। আমি নির্বাচন কমিশনকে বলব—যদি ভোটার তালিকা ভুল হয়, তবে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা হবে না? আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি—বিজেপি যদি এই কাজ শুরু করে, আমিও পদত্যাগ করব, পুরো সংসদ ভেঙে দেওয়া হোক। লোকসভা ভেঙে দিয়ে সারা দেশে নির্বাচন হোক।'