নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: এবার সেপ্টেম্বরেই দুর্গাপুজো। বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসবের অপেক্ষায় দিন গুনছে জনতা। জোরকদমে চলছে মণ্ডপসজ্জার কাজ। তৈরি হচ্ছে প্রতিমাও। সল্টলেক ও দমদম পার্কে অনেকগুলি বিগ বাজেটের পুজো হয়। সোমবার সরেজমিনে সেই পুজোগুলির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখল পুলিস। এদিন বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিস কমিশনার অনীশ সরকার, অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস কমিশনার (নর্থ) দীপকুমার দাস সহ থানার অফিসাররা সল্টলেক ও দমদম পার্কের বেশ কয়েকটি পুজোর প্যাণ্ডেল ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি সল্টলেকে দু’টি থানা এলাকায় পুলিসের সমন্বয় বৈঠকও হয় এদিন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি জায়গাতেই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিস আধিকারিকরা। পুজো প্রস্তুতির সঙ্গে ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা, দর্শনার্থীদের সুরক্ষাবিধি, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য মাস্টার প্ল্যান সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর কথাবার্তা হয়। সেই সঙ্গে কিছু নির্দেশিকার কথাও বলা হয়। যেমন, কোনওভাবেই লেজার লাইট ব্যবহার করা চলবে না। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ আলাদা ও চওড়া করে রাখতে হবে। ভিড় বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা রাখতে হবে। মণ্ডপ চত্বরে যেন কাদা না হয়, সেজন্য ভিতরে কাঠের পাটাতনের প্ল্যাটফর্ম করতে বলা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনই বিধাননগর দক্ষিণ এবং ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার অধীনে থাকা পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে পুলিসের সমন্বয় বৈঠক হয়। সেখানে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু উপস্থিত ছিলেন। সেখানেও পুজো সংক্রান্ত সমস্ত নির্দেশিকা প্রত্যেককে জানিয়ে দেওয়া হয়। আগামী দিনে, অন্যান্য জায়গাতেও যাবে পুলিস। কারণ, লক্ষ লক্ষ মানুষ পুজোর সময় ভিড় জমান। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, পুজোর সময় অতিবৃষ্টি হলে খুবই সমস্যা। বিশেষ করে বিপুল ভিড় এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে বড় বড় মণ্ডপ ক্ষতির মুখে পড়ে। তাই এবার সেই ব্যাপারে আগাম সতর্কতা নিতে হবে। পুজো কমিটিগুলি অবশ্য তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে।