• দত্তপুকুরে বেহাল জেলা পরিষদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ‘বেহাত’ সরকারি জমি
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: একটা সময় এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি থেকে পরিষেবা মিলত। গ্রামবাসীদের ভরসার কেন্দ্র ছিল এটি। কিন্তু এখন তা তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে। এখানেই শেষ নয়, সরকারি নথিতে দেখা যাচ্ছে, এই হাসপাতালের জমির মালিকানাও বদল হয়ে গিয়েছে! স্বাভাবিকভাবে কে বা কারা এই চক্রে জড়িত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে দত্তপুকুরে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দত্তপুকুর থানার কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রঘুবীরপুরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়। বাম আমলে, ১৯৮৬ সালে তৈরি হওয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি একটা সময় মানুষের ভরসা ছিল। কোটরা, গোলাবাড়ি, দত্তপুকুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ রোজ এখানে আসত। কিন্তু দোতলা লাল রঙের এই বাড়িটি এখন ভগ্নপ্রায় অবস্থায়। পাঁচটি কক্ষ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে। চারপাশে আবর্জনা ও আগাছা। বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ভাঙা পড়ে আছে দরজা, জানালা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ১০ বছরেও বেশি সময় ধরে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ। এটি জেলা পরিষদের অধীনে। এজন্য ১৯৮৫ সালে সাত শতক জমি জেলা পরিষদকে দিয়েছিলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারপর ঘরও তৈরি হয় মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন সব শিকেয়।

    সব থেকে অবাক করার বিষয় হল, জেলা পরিষদের অধীনে থাকা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমির মালিকানাও নাকি বদল হয়ে গিয়েছে। সরকারি সম্পত্তি এখন নাকি ব্যক্তি মালিকানাধীন। সমস্ত বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরে লিখিত দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তপন মণ্ডল, নজরুল হক বলেন মানুষের পরিষেবার জন্য এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন তা বন্ধ। যে জায়গার উপর হাসপাতালটি তৈরি হয়েছিল, সেই জায়গাও নাকি বেহাত হয়েছে। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব,  তা আমাদের জানা নেই। আমরা চাই দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হোক। আগের মতোই এখান থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পাক এলাকাবাসীরা।

    কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রফিউল্লাহ সর্দার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি জেলাশাসককে লিখিত দিয়েছি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, এটা জানা নেই। খোঁজখবর 

    নিয়ে দেখছি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)