• গোপীবল্লভপুরের বেহাল রাস্তা দিয়ে সব্জি নিয়ে যেতে নাকাল চাষিরা, হয়নি সংস্কার
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রাম জেলার শস্যভাণ্ডার বলা চলে গোপীবল্লভপুর -এক ব্লককে। এখানে উৎপাদিত ধান ও সব্জি জেলা ছাড়াও পাশের রাজ্যেও পাঠানো হয়।সংশ্লিষ্ট ব্লকের ছাতিনাশোল থেকে জগন্নাথপুর যাবার চার কিলোমিটার রাস্তা দিয়েই জমির ফসল নিয়ে যান চাষিরা। কিন্তুদীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তা বেহাল। সংস্কারের দাবিতে গ্ৰামবাসীরা এবার সরব হয়েছেন। 

    মূলত সাত কিলোমিটারের এই রাস্তার চার কিলোমিটার অংশ পুরোপুরি যাতায়াতের অযোগ্য। ব্লকের আলমপুর, কপতিশোল, ভট্টগোপালপুর, জগন্নাথপুরের বাসিন্দারা এই রাস্তা নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন। পীড়াশিমুল, টোপগেড়িয়া, আলমপুর গ্ৰামের চাষিরা উৎপাদিত সব্জি এই রাস্তা দিয়ে গোপীবল্লভপুর বাজারে নিয়ে যেতে নিত্যদিন সমস্যায় পড়ছেন। ব্লক প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করেও সুরাহা মেলেনি। রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। অথচ এই রাস্তার পাশেই পাঁচটি স্কুল ওস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। চলাচলের সময় গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যাচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের কাছেগত বছর পুজোর সময় এই রাস্তার খানাখন্দ বোজানোর আবেদন করা হয়েছিল। একবছর পেরোতে চললেওপদক্ষেপ করা হয়নি। তাই এবাররাস্তা সংস্কারের দাবিতে গ্ৰামবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। 

    আলমপুরের বাসিন্দা তরুণ রথ বলেন, উৎপাদিত শস্য ঝাড়গ্রামের চাহিদা মিটিয়ে পাশের রাজ্যে এই রাস্তা দিয়েই পাঠানো হয়। কিন্তু খারাপ রাস্তার কারণে ফসল জেলার বাইরে নিয়ে যতে সমস্যা হচ্ছে।

    পীড়াশিমুল গ্ৰামের বাসিন্দা উত্তম পাত্র বলেন,ওই রাস্তার সংস্কারের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত,ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।আলমপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান স্বপনকুমার সাউ বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে।পঞ্চায়েতের তরফে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি বলেন, রাস্তাটির সংস্কারের কাজ কেন করা যাচ্ছেনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)