গঙ্গার জলবৃদ্ধি, আতঙ্কের প্রহর গুনছে ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ
বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: প্রতিদিনই কয়েক সেন্টিমিটার করে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ফরাক্কায় ও সামশেরগঞ্জে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যার আশঙ্কার মাঝেই এবার জঙ্গিপুর মহকুমার তিনটি ব্লকে নদীর দুই কুল ছাপিয়ে গ্রামীণ এলাকায় জল ঢুকছে। রবিবার ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে সাড়ে ১৪ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে ব্যারেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। ব্যারেজের ১০৯টি গেটই আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গঙ্গা নদী কানায় কানায় ভর্তি। একই হারে জল বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, নদী ছাপিয়ে অল্প পরিমাণে জল ঢুকছে। গঙ্গা তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। কিছু ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন।
ফরাক্কায় গঙ্গার বিপদসীমা ২২.২৫ মিটার। বর্তমানে ফরাক্কায় গঙ্গা বিপদসীমা অতিক্রম করে ২৩.৪০ মিটার উচ্চতায় বইছে। সোমবার সকাল থেকে মুস্কিনগরে নদীর দু’ কুল ছাপিয়ে জল ঢুকছে এলাকায়। আছুয়া, রঘুনাথপুর, জেলেপাড়া ও এলসিডি ঘাটপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বেনিয়াগ্রামের হোসেনপুরও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অন্তত ৩০টি পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। অপরদিকে, সামশেরগঞ্জের চাচণ্ডে নদীর দুই কুল ছাপিয়ে চাচণ্ড ও বাসুদেবপুরে জল ঢুকছে। হাই ড্রেন দিয়ে গ্রামীণ এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। দুপুর থেকে চাচণ্ডে বালির বস্তা দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা শরিফ মোমিন বলেন, যে হারে জল বাড়ছে তাতে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। অল্প পরিমাণে হলেও এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে।
অপরদিকে, গঙ্গায় জলস্তর বাড়তেই সূতির আলমপুরে ভাঙন শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে আলমপুরে পাড় অল্প অল্প করে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে এলাকাবাসীদের দাবি। নদীর পাড় বাঁধানো দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের পদ্মানদীতে জলস্তর বৃদ্ধির ফলে খেজুরতলা ঘাটের বাঁশের সেতুটি জলের তলায় চলে গিয়েছে। পাশাপাশি বড়শিমূল এলাকার মাঠঘাট জলের তলায় গিয়েছে। জল আর কিছুটা বাড়লেই এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। বড়শিমূল পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুল হক বলেন, মাঠঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে গ্রামে এখনও জল ঢোকেনি। আমরা ফ্লাড শেল্টারগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি। নিজস্ব চিত্র