• বৃষ্টি-নদীর জলে প্লাবিত ২২ হাজার হেক্টর জমি, ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: লাগাতার বৃষ্টি ও নদীর বাঁধ ভাঙা জলে ২২ হাজার হেক্টরের বেশি জমি জলমগ্ন। ধান চাষের দফারফা অবস্থা। বর্ষার মরশুমে সবচেয়ে বেশি ধান হয় কান্দি মহকুমায়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টির জেরে কান্দির পাঁচ ব্লক সহ মুর্শিদাবাদ জেলার মোট নয়টি ব্লক জলের তলায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জেলায়। যার অধিকাংশই ধানের জমি। এদিকে, রবিবার ফরাক্কা ব্যারাজের ছাড়া জলে গঙ্গা ও পদ্মার দু’কূল ছাপিয়ে বেশ কিছু গ্রামে নতুন করে জল ঢুকেছে। এর ফলে সামশেরগঞ্জ,  সুতি-২ ও রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলেই আশঙ্কা। 

    জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, কান্দির পাশাপাশি বহরমপুর, সাগরদিঘি ও নবগ্রাম ব্লকের যেসব গ্রামে বেশি ধান চাষ হয় বৃষ্টির জলে আগে সেসব গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। যে সব জমিতে কিছুদিন আগে ধান রোপণ করা হয়েছে উচ্চতা কম থাকায় সেগুলি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা। আর যে জমির ধানগাছের উচ্চতা একটু বেশি, জল নামলে সেই গাছগুলি বেঁচে যেতে  পারে। তবে এবার বর্ষার টানা বৃষ্টি ধানের উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাই পাশের কোনও জেলা থেকে বীজতলার ধান এনে নতুন করে রোপণ করা হতে পারে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কতটা ফলদায়ী হবে, তা জমির জল নামার  পরেই বোঝা যাবে। 

    কান্দির হিজলের ধান চাষিদের কথায়, চাষের পরিস্থিতি একেবারেই ভালো নয়। জমি থেকে জল নামছে না। জল নামার পর কোনও গাছ বাঁচবে কি না, বুঝতে পারছি না। সাটুই চৌরিগাছার এক চাষি বলেন, শস্য বিমার আবেদন করেছি। মনে হয় না এই মরশুমে ধান চাষ করতে পারব। ফলে সরকারের ক্ষতিপূরণের দিকেই তাকিয়ে আছি। নিজেদের ফলন থেকে প্রতি বছরে খাবার চালটা হয়ে যেত। কিন্তু এবার সেটাও সম্ভব হবে না। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে ২২ হাজার হেক্টরের একটু বেশি জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আপাতত তিন হাজার হেক্টর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)