• রামকৃষ্ণ সেতু দিয়ে যেতে পারে খালি বাস, যাত্রীরা হেঁটে: ডিএম
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: রামকৃষ্ণ সেতু দিয়ে যাবে খালি বাস। যাত্রীরা ব্রিজ হেঁটে পেরবেন। রামকৃষ্ণ সেতুর গার্ডওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ার পর হুগলির জেলাশাসক এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। সেতুর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে নির্দেশ কার্যকর করতে আজ, মঙ্গলবার বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে হুগলি জেলা প্রশাসন। তবে এর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়বে।

    হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) অমিতেন্দু পাল বলেন, আপাতত রামকৃষ্ণ সেতুর উপর বোঝা কমানোই লক্ষ্য। সেইজন্য যান চলাচলের গতিবিধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেতুতে খালি বাস পারাপার করবে। যাত্রীরা সেতু হেঁটে পেরবেন। এই নির্দেশ কার্যকর করতে বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। পরিস্থিতির সব দিক নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হবে। সেতু মেরামতির বিষয়টি পূর্তদপ্তর খতিয়ে দেখছে। 

    আরামবাগের বাস মিনিবাস অপারেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদিকা মধুমিতা ভট্টাচার্য বলেন, সেতুতে যাত্রী সহ বাস না চালানোর নির্দেশিকা আমরা পেয়েছি। কিন্তু, এদিন যাত্রী নিয়েই বাসগুলি চলেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে আমরা মান্যতা দেব। তারজন্য আজ আমরা প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেব। তবে সেতুতে খালি বাস চলাচল করলে যাত্রীদের দুর্ভোগ হবে। তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা প্রশাসন খতিয়ে দেখুক। 

    উল্লেখ্য, শনিবার মাঝরাতে আরামবাগের পল্লিশ্রীতে দ্বারকেশ্বর নদের উপর রামকৃষ্ণ সেতুর গার্ডওয়ালের একাংশ ভেঙে যায়। সেই অবস্থায় বেশ কিছু সময় বিপজ্জনকভাবেই যান চলাচল করে। যদিও রাতেই পুলিস মোতায়েন করা হয়। তারপরই ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ভারী গাড়িগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র বাস, ছোট গাড়ি, বাইক চলাচলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। রবিবার সেতুতে বসানো হয় হাইট বার। সাড়ে তিন মিটারের থেকে বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট গাড়ি ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে না। কিন্তু, যাত্রী নিয়ে বাস পরিবহণেও এবার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে প্রশাসন। এরজন্য ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তা কার্যকর করতে আজ, হুগলি জেলা ও আরামবাগের চারটি বাস মালিক সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেই দিকেই সকলে তাকিয়ে রয়েছে। 

    প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আরামবাগের ওই সেতু দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। ওইদিন সেতুর গার্ডওয়ালের একাংশ ভেঙে যাওয়ার পর মহকুমার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, রামকৃষ্ণ সেতু প্রাচীন। কিন্তু, তারপরেও এই সেতু দিয়ে কয়েকটি জেলার যান চলাচল করে। নিত্যদিন ভারী যানও চলে। দুর্বল সেতু হিসেবে ঘোষণা করা হলেও সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ হয়নি। বারবার সার্ভের পরেও ওই সেতু মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পূর্তদপ্তরের দাবি, গার্ডওয়ালের একাংশ ভেঙে যাওয়ার পর উচ্চ পদস্থ ইঞ্জিনিয়াররা তা পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)