কেতুগ্রামের গোমাই-অম্বলগ্রামের মধ্যে কাঁদরের কাঠের সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন গ্রাম
বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: কেতুগ্রামের গোমাই-অম্বলগ্রাম যাওয়ার কাঁদরের উপর কাঠের সাঁকো ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরে ওই কাঠের সেতু দিয়েই চলত ঝুঁকির পারাপার। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি ওই সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছিল। সেতু ভেঙে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে আশেপাশের সাতটি গ্রামের বাসিন্দাদের ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তাঁদের দাবি, কাঠের সাঁকোর বদলে কংক্রিটের স্থায়ী সেতু করা হোক। কিন্তু প্রশাসনকে বার বার সে দাবি জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রাম ২ ব্লকের অম্বলগ্রাম মৌজায় বড় কাঁদরের উপরে ওই বাঁশ ও কাঠের সাঁকোটি প্রায় কুড়ি বছর আগে গ্রামের বাসিন্দারাই তৈরি করেছিলেন। একদিকে অম্বলগ্রাম ও অন্যপ্রান্তে গোমাই গ্রামের মাঝে সাঁকোটি ছিল। বাসিন্দারা জানান, অম্বলগ্রাম, শিবলুন, তরালি- সেনপাড়া, বড় পুরুলিয়া, ছোট পুরুলিয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা ওই বাঁশের সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতেন। ওই সাঁকো পার হয়েই কেতুগ্রাম থানা, বিডিও অফিস, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত করা হতো। দেড় বছর আগে বর্ষায় কাঠের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের বাসিন্দাদের পাঁচুন্দির মোড় বা বন্দর, গঙ্গাটিকুরি হয়ে প্রায় সাত-আট কিমি ঘুরে যেতে হয়। সাঁকো দিয়ে গেলে মাত্র তিন-চার কিমি রাস্তার মধ্যেই থানা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিডিও অফিস যাওয়া যায়। প্রতিদিন ওই সাঁকো পার হয়ে কয়েকশ মানুষ যাতায়াত করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব পাল বলেন, জলের তোড়ে সাঁকোটি ভেঙে গিয়েছে। আমরা জমির ধান বাড়ি আনতে পারছি না। গোমাই গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ দাস বলেন, আমাদের যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। চ রম সমস্যায় রয়েছি। পাড়ায় সমাধান থেকে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও বাঁশের সাঁকো কংক্রিটের হয়নি। আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন এদিকে নজর দিক। নবগ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য উজ্বলকুমার দাস বলেন, এই সেতু তৈরি করার জন্য পঞ্চায়েতের পর্যাপ্ত তহবিল নেই। তবে এই বিষয়ে বিধায়ককে জানিয়েছি। তিনিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি চেষ্টা করছেন।
প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য তথা অম্বলগ্রামের বাসিন্দা বিকাশ মজুমদার বলেন, আমাদের কাঠের সাঁকোটা ভেঙে গিয়েছে। এখন ওটা কংক্রিটের করা প্রয়োজন। তাহলে আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষের উপকার হয়। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি সাঁকোটা কংক্রিটের করার জন্য। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া নম্বরেও আমরা জানিয়েছি। আশাকরি দ্রুত সমাধান হবে।