মনসুর হাবিবুল্লাহ, দিনহাটা: দিন দিন প্রযুক্তির দাপট বাড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আজ বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষেত্র থেকে শিক্ষা সব জায়গাতেই মানবসমাজকে নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যার ভরসায় সেই চ্যালেঞ্জে টিকে থাকা কঠিন, এমনই বার্তা দিলেন দিনহাটার শেমরক ফ্লোরেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল পারমিতা সরকার।
সোমবার দিনহাটা নৃপেন্দ্র নারায়ণ স্মৃতিসদনে বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বার্তা দেওয়া হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে মেশিনের করা কাজকে হারাতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, দলগত দক্ষতা এবং নতুনত্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। বিদ্যালয়ের লক্ষ্য সেই দক্ষতাকে পাঠদানের মাধ্যমে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বিকশিত করা।
দিনহাটার শিক্ষাঙ্গনে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, নতুন ধারার পাঠদানের পদ্ধতি এবং শৃঙ্খলার জন্য ইতিমধ্যেই অভিভাবকদের নজর কেড়েছে শেমরক ফ্লোরেট স্কুল। জাতীয় স্তরে একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবারের অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পরিবেশনায় একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত অতিথিরা বিদ্যালয়ের সাফল্য ও শিক্ষাদানের কৌশলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। অন্যতম অতিথি ছিলেন দিনহাটা পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা দে নন্দী। তিনি বলেন, এই বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বারবার মুগ্ধ করে আমাকে। এর নিয়মনীতি, শিক্ষাদানের ধরন ও শিক্ষার্থীদের আচরণ অন্য বিদ্যালয়ের জন্যও পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারে।
দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, প্রাচীন যুগ থেকেই ভারতবর্ষ শিক্ষাক্ষেত্রে সারা বিশ্বে আলাদা সম্মান পেয়েছে। সেই ধারাকে আধুনিক প্রেক্ষাপটে সযত্নে ধরে রেখেছে শেমরক ফ্লোরেট স্কুল। পাঠদান, শৃঙ্খলা ও ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিকাশে এরা সত্যিই অনন্য।
উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী, ক্রীড়াবিদ চন্দন সেনগুপ্ত, সাংবাদিক সুভাষ মণ্ডল, সমাজসেবী বিশু ধর সহ এলাকার বিশিষ্টজনেরা। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল পারমিতা সরকার বলেন, শুধু পুঁথিগত জ্ঞান থাকলেই কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই যখন মেশিনকে আরও দক্ষ করে তুলছে, তখন মানুষকে এগিয়ে থাকতে হলে লাগবে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন ক্ষমতা। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠনে ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করি। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে মেধা, মনন, নৈতিকতা ও আত্মবিশ্বাসে সমৃদ্ধ করে তোলা।