সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: এর আগে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগানের ম্যাঙ্গো, পার্পল, রোজ, ব্লু ও মুনলাইট টি দেশীয় বাজার মাত করেছিল। এবার দুবাই হয়ে ইউরোপের মার্কেট ধরতে এই চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাজারে আনল গোল্ডেন টি বা সোনালি চা। সোমবার বাগান লাগোয়া লাউঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই গোল্ডেন টি আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত করার কথা ঘোষণা করল মাঝেরডাবরি কর্তৃপক্ষ।
যদিও চায়ের এই নতুন প্রোডাক্ট গোল্ডেন টি নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তের হাতের একেবারে নাগালের বাইরে। কারণ বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, এক কেজি গোল্ডেন টি’র দাম এক লাখ টাকা। মূলত, বিত্তবানদের কথা ভেবেই এই চা উৎপাদন করেছে মাঝেরডাবরি বাগান কর্তৃপক্ষ।
সোনার ভস্ম মেশানো এই চা আগামী ডিসেম্বরে দুবাই পাঠানো হচ্ছে। ওই সময় দুবাইয়ে একটি আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে। আরব মুলুকে সেই ট্রেড ফেয়ারে শোভা পাবে এই গোল্ডেন টি। বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, গোলাপ ফুলের অ্যারোমা ও সোনার ভস্ম মেশানো এই চা শরীরের প্রতিষেধক ক্ষমতা যেমন বাড়ায়, হজম শক্তি ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তবে এই গোল্ডেন চা সিটিসি নয়। একবারেই বিশুদ্ধ অর্থোডক্স চা। অসমে প্রথম এই চা উৎপাদন হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম এই চা উৎপাদন করে দেখাল মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ।
এক কাপ গোল্ডেন টি খেলে পকেট থেকে খসে যাবে এক হাজার টাকা। তাই এই চা নিম্নবিত্ত তো বটেই, বলা যায় মধ্যবিত্তদেরও নাগালের বাইরে। পেয়ালায় এই চা ঢাললে রং সোনার মতো চকচক করবে। সঙ্গে ছড়াবে গোলাপ ফুলের অপূর্ব সুগন্ধি।
চা রসিক ও গবেষক রামঅবতার শর্মা বলেন, মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষের চায়ের এই নিত্যনতুন প্রোডাক্ট তৈরির উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এর ফলে চা রসিকরাও আকৃষ্ট হবেন।
মাঝেরডাবরি চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, বর্তমানে চা শিল্প খুবই দুরাবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে অ্যারোমা যুক্ত চায়ের নিত্যনতুন প্রোডাক্ট উদ্ভাবন করতেই হবে। তাই ইউরোপের চায়ের বাজার ধরতে আমরা গোল্ডেন টি বাজারে এনেছি। ডিসেম্বরে দুবাইয়ে যাচ্ছে আমাদের এই চা। গোল্ডেন চা। - নিজস্ব চিত্র।