• প্রেক্ষাগৃহে পাঠদান, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ক্লাস শোভানগর হাইস্কুলের উদ্যোগে
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা মালদহ: পাঠদান শুধু শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। সিনেমা হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে ছাত্রছাত্রীদের মেধা ও মননকে সমৃদ্ধ করার ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন দিশা দেখাল ইংলিশবাজারের শোভানগর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিকল্পনায় মালদহের একটি আধুনিক প্রেক্ষাগৃহে রবিবার ছুটির দিনে ছাত্রছাত্রীদের দেখানো হয়েছে প্রশংসা কুড়িয়ে নেওয়া ভিন্নধারার চলচ্চিত্র ‘তোর্সা একটি নদীর নাম’। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে মালদহের শিক্ষামহল। ইংলিশবাজার শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত এই স্কুলের পড়ুয়ারা এদিন ইউনিফর্ম পরে সুশৃঙ্খলভাবে হাজির হয় মালদহ শহরের উপকণ্ঠে থাকা ওই প্রেক্ষাগৃহে। প্রদর্শনী শুরুর আগে সংক্ষেপে এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা বঙ্গরত্ন শক্তিপদ পাত্র, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস প্রমুখ। সঙ্গে ছিলেন প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই ভিন্ন আঙ্গিকের শিক্ষা প্রণালী ব্যাখ্যা করে হরিস্বামী দাস বলেন, সামাজিক সাম্য, সহপাঠী সমবয়স্ক এবং নবীন ও প্রবীণদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ, মানবাধিকারের গুরুত্ব, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং আগামীর পৃথিবীতে এক আদর্শ ভারসাম্য তৈরি করা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। আজকের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরণের বিশেষ শিক্ষা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চেতনা গড়ে তুলতে পারে। এই বিশ্বাস থেকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে উন্নততর পাঠদানের এই প্রক্রিয়া। এদিন ওই স্কুলের মোট ২১৬ জন পড়ুয়া একসঙ্গে বসে ছবিটি দেখে। এই উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করে শক্তিপদ পাত্র বলেন, যা চোখে দেখা যায়, জীবন্ত চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়, তা পড়ুয়াদের মনে এক দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যায়। তাই এই পদ্ধতি অত্যন্ত আদর্শ। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস বলেন, চলচ্চিত্রে রূপায়িত হওয়া গল্পটি বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দিতে অনুপ্রাণিত করবে পড়ুয়াদের।  ইংলিশবাজারের শোভানগর হাইস্কুলের শিক্ষামূলক ভ্রমণে পড়ুয়াদের ‘তিস্তা একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্র দেখানো হয়। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)