• হরিশ্চন্দ্রপুরের নাজিরপুরে জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম ৯
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: জমি নিয়ে প্রতিবেশী দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ। ধানের চারা রোপণ করতে বাধা দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ন’জন জখম। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুর গ্রামে।

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ জসিমুদ্দিন ও আকবর আলি নাজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব আলির কাছ থেকে এক বছর আগে ছ’লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছ’কাঠা‌ জমি কিনে নেয়‌। অভিযোগ, সোহরাবের কাকা সেইফুল হক ও মৈফুল হক সহ তাঁর আরও তিন কাকার ছেলেরা জসিমুদ্দিনদের জমি চাষ করতে বাধা দেয়। রবিবার জসিমুদ্দিন জমিতে ধানের চারা রোপণ করছিল ও আকবর মাখনা তুলছিল। সেই সময় অভিযুক্তরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমিতে গিয়ে কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে জসিমুদ্দিনের পক্ষের সাত জন এবং সেইফুল ও মৈফুল পক্ষের দু’জন জখম হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। 

    জসিমুদ্দিন বলে, আমি জমি কিনে নিয়েছি। দলিল ও খতিয়ান রয়েছে। তা সত্ত্বেও গায়ের জোরে জমিতে কাজ করতে বাধা দেয়। এদিন জমিতে ধানের চারা রোপণ করছিলাম। সেইফুলরা দলবল নিয়ে ধানের চারা রোপণে বাধা দেয়। ধানের চারা তুলে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবাদ করলে আমাদের সাত জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    সেইফুল বলে, আমরা পাঁচ ভাই। তিন ভাই মারা গিয়েছে। বাবার নামে আড়াই বিঘা পাট্টার জমি আছে। এক ভাইয়ের ছেলে সোহরাব আমাদেরকে না জানিয়ে ছ’কাঠা জমি বিক্রি করে দিয়েছে। তাই আমরা জমি চাষ করতে বাধা দিয়েছি। অপরদিকে জমি বিক্রেতা সোহরাব বলে, জমিটি আমার বাবার দখলে ছিল। বাবা মারা গিয়েছে। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য বাবার অংশের জমি বিক্রি করেছি। কাকারা সেই জমি গায়ের জোরে দখল করতে চাইছে। সেটা নিয়েই বিবাদ। প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।  সংঘর্ষে জখমরা।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)