• ৪ জনকে সাসপেন্ড না করে সরানো হল শুধু ২ জনকে, কারণ জানিয়ে দিল্লিতে চিঠি নবান্নের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • কথা রাখলেন মমতা? ঝাড়গ্রামের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ থেকে নাম না করে গর্জে উঠে বলেছিলেন, ‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট হতে দেব না।’ প্রসঙ্গত, ঠিক তার আগেই নবান্নের কাছে চিঠি গিয়েছিল নির্বাচন কমিশন থেকে। চার নির্বাচনী আধিকারিকের নামে গোপন তথ্য পাচারসহ আরও অভিযোগ তুলেছিল কমিশন। নবান্নের মুখ্যসচিবের কাছে নির্দেশ যায় ওই আধিকারিকদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনী কাজে যুক্ত থাকা এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে। এমনকি নির্দেশটি কার্যকর করা হল কি না, সে সম্পর্কে দিল্লিতে জানাতেও বলা হয়েছে।

    সোমবার মুখ্যসচিবের অফিস থেকে দিল্লিতে চিঠি পাঠিয়ে সেই সম্পর্কে জানানো হয়েছে বটে। কিন্তু অধিকাংশ নির্দেশই মানা হয়নি নবান্নের তরফে। কেন মানা হয়নি, তার যুক্তিও উল্লেখ করা হয়েছে মুখ্যসচিবের ওই চিঠিতে।


    প্রসঙ্গত, কমিশনের তরফে বারুইপুর পূর্ব তথাগত মন্ডল ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের ইআরও বিপ্লব সরকার ও এআইআরও সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ড করতে বলা হয়েছিল। এছাড়াও, ফর্ম-৬ প্রসেসিংয়ে কাজে যুক্ত ক্যাজুয়াল ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিত হালদারের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করার সুপারিশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

    মনোজ পন্থের চিঠিতে জানানো হয়েছে, দুজন আধিকারিককে আপাতত নির্বাচনী কাজের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ না মেনে কেন এই পদক্ষেপ? মুখ্যসচিবের চিঠিতে বলা হয়েছে, তদন্ত ছাড়াই তাদের সাসপেন্ড করে দিলে আধিকারিক মহলে ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। তাছাড়া, ওই আধিকারিকরা নির্বাচনী কাজ ছাড়াও নানা রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক কাজে যুক্ত থাকেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হওয়ায় এই মুহূর্তে তাঁদের সাসপেন্ড না করে তদন্ত করা হচ্ছে।


    প্রসঙ্গত, নবান্নের তরফে আপাতত ময়না বিধানসভার সহকারী রিটার্নিং অফিসার সুদীপ্ত দাস এবং বারুইপুর পূর্ব আসনের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)