• বাঁকুড়ায় তৃণমূলের বুথ আহ্বায়ককে গুলি করে খুন, বিজেপির দিকে আঙুল শাসক দলের
    আনন্দবাজার | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • তৃণমূলের বুথ আহ্বায়ককে গুলি করে খুন বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার চকাই গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম সেকেন্দার খাঁ ওরফে সায়ন খাঁ। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ স্থানীয় পখন্না বাজার থেকে বাইকে চেপে চকাই গ্রামে নিজের বাড়ি ফেরার পথে পিছন থেকে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পর পর গুলি চালিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের ওই নেতাকে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সায়ন। এর পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় সোনামুখী থানার পুলিশ। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে তারা। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

    স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ স্থানীয় পখন্না বাজার থেকে বাইকে করে একা চকাই গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন সায়ন। চকাই গ্রামে ঢোকার মুখে একটি সেচ খালের পাড়ে তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সায়নের পিঠে ও মাথায় গুলি লাগে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে উপস্থিত হন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত, সোনামুখীর পুরপ্রধান সন্তোষ মুখোপাধ্যায়, উপ পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়-সহ অন‍্য তৃণমূল নেতারা।

    স্থানীয়দের দাবি, সায়ন এলাকায় প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে লক্ষ্য করা হয়েছে এবং তার পর তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। এটা একটি পরিকল্পিত খুন বলে স্থানীয়দের অনুমান। ইতিমধ্যেই পুলিশ এলাকাটি ঘিরে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।

    তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সোনামুখী বিধানসভায় নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে এই খুন করেছে। সায়ন এলাকায় দলের দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তাই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, “এই খুনের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা।”

    গত প্রায় এক বছর ধরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের চকাই গ্রাম। গত ২ মার্চ ওই গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলিও চলে। সেই গুলিতে এক তৃণমূল নেতা আহত হন। সেই ঘটনার ছ’মাস যেতে না যেতেই এ বার খুন হলেন তৃণমূলের স্থানীয় বুথ আহ্বায়ক।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)