‘প্রতিবাদীদের ব্যতিব্যস্ত করছে’! থানায় হাজিরা দিতে গিয়ে ক্ষুব্ধ দুই চিকিৎসক নেতা, সাইকেল মিছিল করে পান পুলিশি নোটিস
আনন্দবাজার | ১১ আগস্ট ২০২৫
ঠাকুরপুকুর থানায় হাজিরা দিলেন চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ এবং তমোনাশ চৌধুরী। পুলিশি অনুমতি ছাড়াই সাইকেল মিছিলের আয়োজন করার জন্য তাঁদের নোটিস পাঠিয়েছিল ঠাকুরপুকুর থানা। অভিযোগ, এর ফলে জাতীয় সড়ক আইন লঙ্ঘন হয়েছে। ওই নোটিসের প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ ঠাকুরপুকুর থানায় হাজিরা দেন দুই চিকিৎসক।
আরজি কর-কাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগের রাতে, গত ৮ অগস্ট আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা কলেজ স্ট্রিট থেকে এক মশাল মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। ওই দিনই ঠাকুরপুকুর থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত একটি সাইকেল মিছিলও হয়। ওই সাইকেল মিছিল পরে গিয়ে মিলিত হয় মশাল মিছিলে। আরজি কর আন্দোলনের আবহে তৈরি হওয়া এক নাগরিক মঞ্চ থেকে ওই সাইকেল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ওই নাগরিক মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক চিকিৎসক পুণ্যব্রত এবং তমোনাশ।
পুলিশের বক্তব্য, কোনও অনুমতি ছাড়াই ওই সাইকেল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মশাল মিছিলের প্রচার করতে করতে ঠাকুরপুকুর, বেহালা শীলপাড়া হয়ে কলেজ স্ট্রিটের দিকে গিয়েছিল সাইকেল মিছিল। অভিযোগ, ওই সাইকেল মিছিলের ফলে জাতীয় সড়ক আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। ওই ঘটনায় দুই চিকিৎসকের পাশাপাশি তাঁদের গাড়িচালকদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছিল থানায়। সোমবার বিকেলে দুই চিকিৎসক এবং তাঁদের গাড়ির চালকেরা থানায় হাজিরা দিয়েছেন।
বিকেলে থানায় প্রবেশ করার আগে চিকিৎসক পুণ্যব্রত বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছে। প্রতিবাদ জানানোর অধিকার মানুষের আছে। বিভিন্ন ভাবে সে প্রতিবাদ করতে পারে। সাইকেল চালিয়ে যে মিছিলটি গিয়েছিল, সেটি প্রতিবাদের একটি রূপ ছিল। আমাদের শহরে কিছু রাস্তা আছে, যেখান দিকে সাইকেল চালানো নিষিদ্ধ। কিন্তু বিদেশে ঠিক উল্টো। বিদেশে বড় বড় শহরে সাইকেলআরোহীদের জন্য আলাদা লেন থাকে। কারণ প্রথমত, সাইকেল গরিব মানুষদের এবং দ্বিতীয়ত, এটি পরিবেশবান্ধব। তাতে কোনও দূষণ হয় না। গাড়িতে যে দূষণ হয়, তা সাইকেলে হয় না।” পুলিশের তলবে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সাইকেল চালিয়ে প্রতিবাদ করেছি, তার জন্য মামলা করা— এটিকে অস্বাভাবিক বলব না। এটি তো হওয়ারই কথা। প্রতিবাদীদের যত রকম ভাবে ব্যতিব্যস্ত করা যায়, তা করা হচ্ছে।”