• জাল OBC সার্টিফিকেট দেখিয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি, অভিযোগ পেয়েই শুরু তদন্ত
    এই সময় | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • জাল ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করে মেডিক্যাল কলেজে হাউস স্টাফ পদে কাজের অভিযোগ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শোরগোল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। ইতিমধ্যে ওই হাউস স্টাফের ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

    ১৫ দিন আগে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ই-মেল খুলতেই চমকে ওঠেন অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ। বেশ কয়েকজন ই-মেল করে অভিযোগ করেন, হাসপাতালের হাউস স্টাফ পদে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসকের তফসিলি জাতিগত সার্টিফিকেটটি ভুয়ো।অভিযোগ পেয়েই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিল, রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানান।

    বিধাননগর কমিশনারেট-এর অধীনে থাকা নিউটাউন ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় গত ২৮ জুলাই রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ইন্দ্রজিৎ সাহা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানানো হয়, ওই হাউস স্টাফ তফসিলি জাতি সার্টিফিকেট জাল করে এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানা গোটা বিষয়টি বহরমপুর থানাকে জানায়। সেই মতো বহরমপুর থানা ওই হাউস স্টাফের বিরুদ্ধে শুক্রবার একটি মামলা দায়ের করে।

    বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘তফসিলি জাতির একটি জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছেন বলে ওই হাউস স্টাফের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেই মতো ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই চিকিৎসকের আইনজীবী ফোন করেছিলেন। তাঁকে সমস্ত নথি নিয়ে বহরমপুর থানাতে দেখা করার কথা বলা হয়েছে।’

    মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন ওই ছাত্রী। সেই সময়ে তিনি জাল তফসিলি জাতি সার্টিফিকেট জমা করেন বলে অভিযোগ। এর পরে তিনি এক বছরের ইন্টার্ণশিপ শেষ করে হাউস স্টাফ পদে কর্মরত ছিলেন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘ই-মেলে অভিযোগ পেয়ে আমি তদন্ত করে দেখার জন্য তা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাঁদের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে তাঁর ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)