• অতি ভারী বর্ষণে জলমগ্ন উত্তরের বিস্তীর্ণ এলাকা, কমলা সতর্কতা দার্জিলিংয়ে
    প্রতিদিন | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয়। টানা ভারী বর্ষণে উত্তরের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চরমে। জলে ভাসল শিলিগুড়ি শহর। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলবন্দি। তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, রায়ডাক, সংকোশ-সহ প্রতিটি পাহাড়ি নদীর জলস্তর বাড়ছে। অতি ভারী বৃষ্টিতে ‘লাল’ সতর্কতা জারি হয়েছে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং পাহাড়ে জারি ‘কমলা’ সতর্কতা। আগামী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভোগান্তি চলবে উত্তরের পাঁচ জেলায়।

    রবিবার বিকেল থেকে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে। শিলিগুড়ি শহরের কলেজপাড়া, শিলিগুড়ি হাসপাতাল মোড়, বাঘাযতীন পার্ক এলাকা জলবন্দি হয়। রাস্তার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে জলের স্রোত। বহু দোকানে জল ঢুকে যায়। যদিও কচ্ছপের পিঠের মতো শহরের ভূমি গঠনের জন্য রাতেই জল নেমে যায়। যদিও শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল সোমবারও জলমগ্ন ছিল। এদিকে জলস্তর বেড়েছে মহানন্দা, ফুলেশ্বরী, জোরাপানি, করতোয়া নদীতে। অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে করলা, ধরধরা, ধরলা, জরদার মতো ছোট নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। জলস্তর বেড়েছে তিস্তা, জলঢাকা নদীতে। ময়নাগুড়ি পুরসভার কিছু ওয়ার্ড-সহ একাধিক গ্রাম জলবন্দি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে আলিপুরদুয়ারের কালজানি, ডিমা, তোর্সা, রায়ডাক, সংকোশ-সহ প্রতিটি নদীর জলস্তর বাড়ছে।

    কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সিকিম কেন্দ্রের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “উত্তরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। ফলে নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” সোমবার আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিনে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় অতিভারী বর্ষণের ‘লাল’ সতর্কতা জারি হয়েছে।

    আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা জানান, সোমবার রাতের মধ্যে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার এবং দার্জিলিং জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহার জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রবল। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে পাহাড়ে ভূমিধস এবং সমতলে হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ের বাসিন্দাদের ধসপ্রবণ এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)