• FIR-সাসপেনশন নয়, ৪ অফিসারকে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি
    প্রতিদিন | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • মলয় কুণ্ডু: নবান্ন বনাম কমিশনের বেনজির সংঘাত। চার অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর কিংবা সাসপেনশনের রাস্তায় হাঁটলই না নবান্ন। পরিবর্তে ভোটের কাজ থেকে ২ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

    বারুইপুর পূর্ব (১৩৭) বিধানসভা কেন্দ্রের ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, সহকারী এইআরও তথাগত মণ্ডল, ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার, এইআরও সুদীপ্ত দাস এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের সুপারিশ করে কমিশন। ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নিজেদের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের কিছু গোপন নথি দিয়ে নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ করতেন। সেসব ভোটারদের নাম হিসেবে তালিকায় সংযোজিত হত। দিল্লির নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ পাওয়ামাত্রই রাজ্যকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়। সরকারি কাজে অনিয়মের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে বলে কমিশন। সাসপেন্ডের নির্দেশও দেওয়া হয়।  

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৫০ সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে। তা নিয়ে নবান্ন ও কমিশনের মধ্যে বেনজির সংঘাত বাঁধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। কোনও আধিকারিককে শাস্তি পেতে দেবেন না বলেই দাবি করেন তিনি। 

    সোমবার মুখ্যসচিবের তরফে জানানো হয়, ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে না। তাঁদের মধ্যে দু’জন যথাক্রমে বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার ও ময়নার এইআরও সুদীপ্ত দাসকে  নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিবের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে মনোবল ভেঙে যাবে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে নবান্ন। তদন্ত শেষ হওয়ার পর বিস্তারিত রিপোর্ট কমিশনকে পাঠাবেন মুখ্যসচিব।
  • Link to this news (প্রতিদিন)