• কেরলে রহস্যমৃত্যু আলিপুরদুয়ারের পরিযায়ী শ্রমিকের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ আগস্ট ২০২৫
  • কেরলে কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল আলিপুরদুয়ার জেলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের। নিহতের নাম আবুল হোসেন (২৭)। তাঁর বাড়ি ফালাকাটা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকার শেষ সীমানায়। গত ২৭ জুলাই তিনি কেরলে রংমিস্ত্রির কাজ করতে যান। ৯ আগস্ট, শুক্রবার কেরলের কত্তাকাল থানার অন্তর্গত একটি ঝোপ থেকে তাঁর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কেরলেই আবুল হোসেনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যরা কেরলে পৌঁছে মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। পরিবার এই মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত খুন’ বলে অভিযোগ করেছে। আবুলের কাকা আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, তাঁর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। এটি স্পষ্টতই একটি হত্যাকাণ্ড। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। আমরা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি।’

    এদিকে, এই ঘটনার পর ফালাকাটা এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। রবিবার মৃত শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ফালাকাটা টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শুভব্রত দে। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। ফালাকাটা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভগীরথ মণ্ডল বলেন, ‘পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। বাইরে গিয়ে কাজ করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। ঠিক কী হয়েছে, তা আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

    সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী বাঙালি শ্রমিকদের ওপর হেনস্তার অভিযোগ সামনে এসেছে। বিশেষত বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো থেকে এমন খবর বেশি এসেছে বলে অভিযোগ। যদিও কেরল একটি বামশাসিত রাজ্য, তবুও এই ঘটনার পর অত্যাচারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পরিবার। নিহত আবুল হোসেনের মৃত্যু ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তিনি আদৌ কোনও দুর্ঘটনার শিকার, নাকি এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড – সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি কেরল পুলিশ। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত সত্য সামনে আনা হোক।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)