আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী ১৫ আগস্ট শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে শনি ও রবি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি ঘিরে পর্যটকের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে দিঘায়। প্রশাসন ও পর্যটন মহল আগেই ধারণা করছে, এবার ভিড় হবে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে। সমুদ্র স্নান, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এবং নবনির্মিত জগন্নাথ ধাম-এর আকর্ষণ, সব মিলিয়ে তিন দিন ধরে এই শৈকত শহরে চলবে উৎসবের আমেজ।
এই মুহূর্তে দিঘায় অবস্থাটা ঠিক কীরকম? দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জগন্নাথধাম সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকেই পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তাঁর দাবি, 'এবারের দীর্ঘ ছুটিতে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না দিঘায়।' ইতিমধ্যেই বহু হোটেলের বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, বাকি কয়েকটিও দ্রুত পূর্ণ হওয়ার পথে। ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ পদ্ধতিতে বুকিং চলছে। ফলে যারা যেতে ইচ্ছুক অথচ এখনও পর্যন্ত বুকিং করে উঠতে পারেননি তাঁরা যেন দ্রুত উদ্যোগ নেয়।
প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, ভিড়ের কথা আন্দাজ করতে পেরে তাদের পক্ষ থেকে সৈকত, হোটেল এলাকা ও বাজারে অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হবে। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখা হবে হোটেল ভাড়ার দিকেও। হোটেল ভাড়ায় অতিরিক্ত চার্জ রোধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে প্রশাসনের ওই সূত্রটি জানায়। এগিয়ে এসেছে হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনও। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা তাদের নিজস্ব নজরদারি চালাবে এবং ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে পর্যটকদের অভিযোগ জানানোর জন্য। যদি দেখা যায় নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে কেউ বেশি ভাড়া দাবি করছে বা নিচ্ছে তবে অ্যাসোসিয়েশন নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে এখন ভরা বর্ষায় মরসুম। স্বাভাবিকভাবেই ইলিশের চাহিদাও যথেষ্ট। সমুদ্রের কাছে হওয়ার জন্য প্রতিদিন দিঘায় মৎস্য শিকারও একটি বড় জীবিকা। বিশেষ করে এই মরসুমে ইলিশের চাহিদা প্রায় সর্বত্রই। যার জন্য পর্যটকদের কাছেও যেমন এই মাছের একটা বিশেষ আকর্ষণ আছে পাশাপাশি দিঘা মোহনার অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও পর্যটকরা এসে খোঁজ করেন। যে কারণে প্রায় সব হোটেল ও রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা হবে ইলিশ ভাজা, পাতুরি, পমফ্রেট মসলা ফ্রাই, ভেটকি মালাইকারি, বড় চিংড়ির ভুনা-সহ নানা বাহারি পদ। অনেক রেস্তোরাঁয় থাকছে বিশেষ 'সি ফুড' ফেস্টিভ্যাল।
ভোজনবিলাসীরা যার খোঁজ করেন। ফলে এই আয়োজন একটা বাড়তি রসদ যোগ করবে পর্যটকদের ছুটির আনন্দে। এছাড়া মেরিন ড্রাইভ, উদয়পুর সৈকত, সায়েন্স সিটি ও শংকরপুরেও পর্যটকের ভিড় জমার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন আগেই জানিয়েছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সিভিক ভল্যান্টিয়ার ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম সব সময়ের জন্য মোতায়েন থাকবে। ইউনিফর্ম ছাড়াও ভিড়ের কথা ভেবে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে।