• কোচবিহারের আক্রান্ত সেই প্রসূতিকে আনা হলো কল্যাণীর এইমসে, কেমন আছে সদ্যোজাত?
    এই সময় | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • ‘বাচ্চা ভালো নেই।’ শক্ত গলায় বললেন দিদা জয়ন্তী বর্মন। সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ভালো নেই মা পূরবী বর্মনও। সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁদের কল্যাণীর এইমসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেয়ে আর নাতিকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠার সময়ে এই সময় অনলাইনকে পূরবীর মা জয়ন্তী বললেন, ‘কিছু ভাবতে পারছি না। আগে বাচ্চা আর মা’কে সুস্থ করি।’

    ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। অভিযোগ, কোচবিহারের নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্রনাথ বর্মনের বাড়িতে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চলে লুটপাট। সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন জিতেন্দ্রর মেয়ে পুরবী। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। কিন্তু রেহাই পাননি। অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা পূরবীর পেটে লাথি মারেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রবল যন্ত্রণায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

    সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, পূরবীর প্ল্যা্সেন্টা ( গর্ভের ফুল) ছিড়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে সিজার করতে হয়। কিন্তু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই নবজাতকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এই অবস্থায় আর কোনও ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। মা ও সদ্যোজাতকে কল্যাণীর এইমসে রেফার করা হয়।

    এ দিন বিকেলে মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠেন জয়ন্তী। তার আগে এই সময় অনলাইনকে ফোনে বলেন, ‘এখন কিছু ভাবতে পারছি না। কিছু বলতেও ইচ্ছা করছে না। আগে বাচ্চাকে সুস্থ করি। তার পরে অন্য কিছু ভাবব।’

    তবে অন্তঃসত্ত্বা পূরবীকে মারধর করা হয়নি বলে এ দিন দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, ‘মারধর দূরের কথা, ওই দিন পূরবী আশেপাশেই ছিল না। বাচ্চা আগে থেকেই অসুস্থ ছিল।’ তবে তৃণমূলের দাবি মানতে রাজি নয় বিজেপি। বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাট বোস বলেন, ‘শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলার ছক ছিল তৃণমূলের। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

  • Link to this news (এই সময়)