মৃত্যুঞ্জয় দাস: সফটওয়ার বিভ্রাটে চলতি মাসের গোড়া থেকেই রাজ্য জুড়ে ব্যাহত ডাকঘরের পরিষেবা। বিপাকে এ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ গ্রাহক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও বহু ক্ষেত্রে মিলছে না নূন্যতম পরিষেবা। বহু ক্ষেত্রে বার্ধক্যভাতা সহ অন্যান্য ভাতাও তুলতে রীতিমত নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ডাকঘরগুলিকে একই সফটওয়ারের ছাতার তলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করে ভারতীয় ডাকবিভাগ। এতদিন মূখ্য ডাকঘর, শাখা ডাকঘর ও উপশাখা ডাকঘরগুলি ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়ারের মাধ্যমে কাজ করলেও এবার দেশের সমস্ত ডাকঘর ওই একই সফটওয়ারে কাজ করবে। গত ৪ আগষ্ট এ রাজ্য সহ ১৩ টি সার্কেলে এই সফটওয়ারে কাজ শুরু করে ডাকবিভাগ। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
নতুন সফটওয়ার ঠিকমতো কাজ না করায় বাঁকুড়া জেলার ৪৮৮ টি ডাকঘরের মধ্যে অধিকাংশ ডাকঘরেই কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পরিষেবা। শুধুমাত্র ডাক পরিসেবাই নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও তুমুল সমস্যা তৈরি হয়। বহুক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও নূন্যতম পরিষেবাটুকুও পাচ্ছেন না সাধারণ গ্রাহকেরা। বহু ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকায় ব্যঙ্কের সুবিধা না থাকায় বার্ধক্য ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা এমনকি অবসরকালীন পেনশনও জমা হয় ডাকঘরগুলির অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা সময়মতো তুলতে না পেরে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে। সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে ডাক বিভাগও। তবে তাঁদের দাবি সমস্যা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ডাক বিভাগ। দ্রুত পরিসেবা স্বাভাবিক হবে।