গরু পাচারকারী সন্দেহে এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে শারীরিকভাবে হেনস্থা ও অপদস্থ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল বিজেপির যুবনেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়কে। রবিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর পুলিশ। ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
গত ৩১ জুলাই দুর্গাপুরের কোক-ওভেন থানা এলাকার ডুমুরতলায় একটি গরু বোঝাই ছোট ট্রাক আটক করেন পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ, ওই ট্রাকে থাকা ১৪টি গরু বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের হাট আশুড়িয়া থেকে কেনা হয়েছিল। গরু পাচারের অভিযোগ তুলে ট্রাকটিকে আটক করার পাশাপাশি ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ, তাঁদের হাত ও গলা দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয় এবং তাঁদের কান ধরিয়ে রাস্তায় হাঁটানো হয়। যাঁরা আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বয়স্কও ছিলেন।
ঘটনার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। অশীতিপর এক গরু ব্যবসায়ীকে মারধর করে তাঁর টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি গরুগুলিকেও ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।
এই ঘটনার ভিত্তিতে কোক-ওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতরা। অভিযোগ দায়ের করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীও। পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানান, অভিযুক্তদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। এর আগেই ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দীপক দাস ও অনীশ ভট্টাচার্য সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, ‘আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিজাতকে জেরা করে গোটা ঘটনার আরও বিশদ তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায় বলেন, ‘পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত চলছে।’