• সাড়ে তিনমাস ধরে লুকোচুরি , অবশেষে পাকড়াও এলাকার 'ত্রাস'! খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: গত সাড়ে তিনমাস ধরে লুকোচুরির পর ধরা পড়ল এলাকার ‘ত্রাস’। রবিবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ভান্ডিগুড়ি চা বাগানে ধরা পড়ল চিতাবাঘ। গত ১৯ এপ্রিল ভান্ডিগুড়ি চা বাগানের ৬০ নম্বর সেকশনে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন বছর চল্লিশের ঝুটুং ওরাওঁ। এমন সময় ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা পেল্লাই সাইজের একটি চিতাবাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর। আচমকা চিতাবাঘের হামলায় খানিকটা ঘাবড়ে যান ওই শ্রমিক। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। কয়েক মিনিট ধরে রীতিমতো চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই চলে ওই শ্রমিকের। পাশেই বাগানের অন্য সেকশনে তখন পাতা তোলার কাজ চলছিল। বিষয়টি টের পেতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন বাকি শ্রমিকরা। এরপরই চিতাবাঘটি ঝুটুংকে ছেড়ে দিয়ে বাগানের ঝোঁপের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। চিতাবাঘের হামলায় মারাত্মকভাবে জখম হন ওই চা শ্রমিক। তাঁর গলায় থাবা বসিয়ে মাংস খুবলে নেয় চিতাবাঘ। এরপর থেকেই ওই এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক গ্রাস করে। বেশ কয়েকদিন চা বাগানে ঠিকমতো কাজ হয়নি। রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, মাঝেমধ্যেই এলাকায় চিতাবাঘের উপস্থিতি টের পাচ্ছিলেন তাঁরা। কখনও তল্লাটে চিতাবাঘের ছাপ মিলছিল। কখনও সশরীরে উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল সে। আর এতেই ভয় বাড়ছিল এলাকাবাসীর মনে। বাগানে খাঁচা পাতা থাকলেও কোনওভাবেই তাতে ধরা পড়ছিল না চিতাবাঘ। অবশেষে রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির ভান্ডিগুড়ি চা বাগানে ধরা পড়ল চিতাবাঘটি। গত দেড় মাস ধরে ওই এলাকায় প্রাণীটি ঘোরাফেরা করছিল। সেটিকে ধরতে খাঁচা পাতা হয়। খাঁচায় টোপ হিসেবে রাখা হয়েছিল ছাগল। আর খাবারের লোভেই ফাঁদে পা দিল হিংস্র শ্বাপদটি। খবর চাউর হতেই আজ সকাল থেকে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ দেখতে ভিড় জমান বাগানের শ্রমিকরা। হিংস্র প্রাণীটি পাকড়াও হতেই স্বস্তি ফিরেছে চা বাগানে।
  • Link to this news (বর্তমান)