গত চার বছরে বাংলাদেশে অন্তত ৩৫৮২ জন হিন্দু-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহে সংসদের শেষ দিনে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ বাংলাদেশ সংক্রান্ত এই তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, “ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই বিষয়ে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষতম স্তরে এ কথা জানানো হয়েছে এই আশা নিয়ে যে, হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও কল্যাণের জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ সরকার।”
প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তির সময়েই গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যে সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে আনে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গণহিংসায় পিটিয়ে মারার ঘটনায় বাংলাদেশে গত বারো মাসে নিহতের সংখ্যা ৬৩৭ জন। এই ব্যক্তিদের নাম-ছবি-বয়স এবং ঠিকানার পূর্ণাঙ্গ তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, সংখ্যালঘুদের উপর সবচেয়ে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক বছরের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই।
অন্য দিকে, রাজ্যসভায় দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে একই বন্ধনীতে রেখেছেন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানকে। যদিও দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘুর উপর হিংসার ঘটনা বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানে অনেকটাই কম। ওই একই সময়সীমায় পাকিস্তান সরকারের কাছে ৩৩৪টি হিংসার ঘটনা নিয়ে কথা বলেছে সাউথ ব্লক। মন্ত্রীর কথায়, ‘এই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জেও তোলা হয়েছে।’ আফগানিস্তান প্রসঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, “অপারেশন দেবীশক্তির মাধ্যমে আফগান শিখ সম্প্রদায় থেকে ৭৪ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, ২০২১ সালে সে দেশে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ধসে পড়ার পর।”