পাড়ায় পাড়ায় চলছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ওই কর্মসূচি। সেখানে সাধারণ মানুষ নানা সমস্যার কথা বলছেন। বেলডাঙা পুরসভা এলাকায় ওই কর্মসূচিতে জলেরদাবি উঠছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলডাঙা পুর এলাকার ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ড গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নলবাহিত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। বেলডাঙা পুরসভা এলাকার পশ্চিমের এই অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন বেলডাঙা ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি পুরপ্রতিনিধি অনুরূপা ভাদুড়িও। তিনি বলেন, “আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধানে অনেকেই জলের সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন। পুরসভার ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ অংশে নলবাহিত পানীয় জল আসে না কেন। বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। জল সরবরাহ নিয়মিত নয়। আমরা পুরবোর্ডকে এ নিয়ে বার বার বলেও কোনও লাভ হয়নি।’’ পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির অলোক ঘোষ বলেন, “শহরের ওই অংশে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বাসিন্দারা নলবাহিত পানীয় জল পান না। কেন্দ্রের প্রকল্পে শহরের দু’টি জায়গায় জলাধার তৈরি করে পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে কবে বাস্তবায়িত হবে, তা জানি না।” ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি পুরপ্রতিনিধি কল্পনা সরকার বলেন, ‘‘আমাদের ওয়ার্ডে ট্যাপের জল পাওয়া যাচ্ছে না। দিনে এক বার জলের গাড়ি আসে। কিন্তু তার আসার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। আগে ভোরবেলা আসত। এখন সকালে আসে। সময়মতো যেতে না পারলে জল পাওয়া যায় না। কোনও কোনও দিন জলবাহী গাড়ি আসে না।’’
অভিযোগ, রেললাইনের কাজ হয়েছে বেলডাঙায়। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্যও খোঁড়াখুড়ি করা হয়েছে। তার জেরেই মাটির নীচে থাকা জলের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরপ্রধান অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাইপলাইনের জল না পৌঁছলেও পুরসভা ট্যাঙ্কে করে এলাকায় জল সরবরাহ করে। বড় জলের প্রকল্পের কাজ হবে। জলাধারের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই কাজ সম্পূর্ণ হলেই পুরসভা এলাকায় পানীয় জলের অভাব থাকবে না।”