আইসারের গবেষক ছাত্রের মৃত্যুতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে, গোটা একটা দিন পেরিয়ে গিয়েছে। মৃত অনমিত্র রায়ের সতীর্থ সৌরভ বিশ্বাস ও গবেষণার সুপারভাইজ়ার অনিন্দিতা ভদ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও, এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযুক্তদের বা আইসার কলকাতার অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির মাথাদের জিজ্ঞাসাবাদও করেনি পুলিশ।
এ দিন বহু চেষ্টা করেও অভিযুক্ত দু’জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আইসার কলকাতার জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্বতী ভৌমিক বলেন, “তদন্ত চলছে। তাই আমি কোনও মন্তব্য করব না।” শনিবার ময়না তদন্তের পরে অনমিত্রের দেহ ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের দাবি, সে দিন বিকেলে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের দাবি মেনে উন্মুক্ত বৈঠক করেন আইসার কর্তৃপক্ষ। মেনে নেওয়া হয় বেশ কিছু দাবি। যেমন, ১৬ অগস্টের মধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন হবে, যাতে থাকবেন পড়ুয়াদের দুই প্রতিনিধি। অ্যান্টি-র্যাগিং সেল ভেঙে নতুন করে গঠন করা হবে। এই বৈঠকের কথা ও পড়ুয়াদের আশ্বস্ত করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছেন।
এই ঘটনার পরে পদ ছেড়েছেন আইসার কলকাতার ডিন অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযুক্ত অনিন্দিতা অয়নের স্ত্রী। পড়ুয়াদের অনেকে জানান, অনমিত্রের মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষ শুক্রবার ক্যাম্পাসে যে শোকসভার আয়োজন করেছিলেন, অভিযুক্তেরাও সেখানে যোগ দেন মোমবাতি হাতে।
অভিযুক্তদের এখনও কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না, সেই প্রশ্নে এক পুলিশকর্তা শুধু বলেন, “ধাপে ধাপে তদন্ত প্রক্রিয়া এগোচ্ছে।”