দিনভর ভাগীরথীর জলস্তর স্থিতিশীল রইল। তবে তা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত বিপদসীমার কাছ দিয়ে বইছে। আগেই শান্তিপুরের দু’টি ফেরিঘাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটটি বন্ধ রইলেও রবিবার দুপুর থেকে খুলে দেওয়া হয় নৃসিংহপুর কালনা ফেরি। বেশি কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে তৈরি রাখা হয়েছে।
নদিয়ায় ভাগীরথী ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে চূড়ান্ত বিপদসীমা ৯.০৫ মিটারের কাছে। রবিবার সকালেও নদিয়ায় ভাগীরথীর জলস্তর ছিল ৮.৯৮ মিটার। দিনভর অবশ্য জলস্তরের বৃদ্ধি সে ভাবে হয়নি। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জলস্তর একই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর আগে শুক্রবার থেকে হুগলি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় শান্তিপুর গুপ্তিপাড়া ফেরি। শনিবার সন্ধ্যায় বন্ধ করা হয় নৃসিংহপুর কানলাঘাট ফেরি চলাচল।
শনিবার সন্ধ্যায় নৃসিংহপুর কালনাঘাট ফেরি চলাচল বন্ধ করার পরে অনেক যাত্রী আটকে পড়েছিলেন দুই দিকেই। পরে যাত্রীদের যাত্রীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয় তাদের পৌঁছে দিতে। রবিবার দুপুর থেকে অবশ্য নৃসিংহপুর কালনাঘাট ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে শান্তিপুর গুপ্তিপাড়া ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই দুই ফেরিঘাটই নদিয়ার সঙ্গে বর্ধমান এবং হুগলির জলপথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। পণ্য পরিবহণের পাশাপাশি প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন এইদুই ফেরিঘাট দিয়ে।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু নিচু জায়গায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। নৃসিংহপুর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকা কয়েকদিন আগে থেকেই জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি বড়বাজার ঘাট সংলগ্ন রাস্তায় জল উঠেছে। শান্তিপুর এলাকায় বেশ কিছু চাষের জন্য জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
শান্তিপুর থানা এলাকায় বক্তারঘাট, বয়রা ঘাটের মত জায়গায় স্নান করতে নামা এবং অন্য কারণে নদীতে নামার বিষয়ে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন ঘাট এবং বিপজ্জনক জায়গাতে কুইক রেসপন্স টিম মজুদ থাকছে। এ ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল তৈরি থাকছে। ত্রিপল-সহ পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে ইতিমধ্যে।
শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত প্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’’