• পাঁচ দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় গিয়েছে, সেই সেতুর গার্ডওয়াল ভেঙে পড়ল নদীতে! বন্ধ ভারী যান চলাচল
    আনন্দবাজার | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • দিন পাঁচেক আগে জেলার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যে সেতুর উপর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় গিয়েছিল, সেই সেতুর গার্ডওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নদীতে। শনিবার মধ্যরাতে ওই ঘটনার পরে সকাল থেকে আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদের উপর রামকৃষ্ণ সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ।

    স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, গার্ডওয়ালের যে অংশ ভেঙে পড়েছে, ঠিক তার পরের অংশেও ফাটল ধরেছে। যে কোনও মুহূর্তে সেটিও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই ওই সেতুর স্বাস্থ্য ভেঙেছে। কিন্তু মেরমতের বিষয়ে প্রশাসন উদ্যোগী হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গত ৫ অগস্ট আরামবাগ থেকে এই সেতুর উপর দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী কামারপুকুর হয়ে ঘাটালে গিয়েছিলেন।

    রামকৃষ্ণ সেতু দিয়ে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে আরামবাগ, বর্ধমান ও কলকাতা যাতায়াত করেন অজস্র মানুষ। যাত্রিবাহী বাস থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, চার চাকার গাড়ি থেকে বাইক, প্রত্যহ হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে এই সেতু দিয়ে। রবিবার সকাল থেকে নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ ব্যারিকেড করে ঘিরে দিয়েছে সেতু।

    প্রায় ছয় দশক আগে রামকৃষ্ণ সেতু তৈরি হয়। উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে চাকুরিজীবীরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু। সেতু বন্ধ হলে স্কুল-কলেজ, অফিসে যাতায়াত কষ্ট সাধ্য হবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। অন্য দিকে, সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে এবং গার্ডওয়াল ভেঙে পড়ার কারণ খুঁজছেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। আরামবাগ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর এবং আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা এসেছিলেন। তাঁরা ব্রিজ়ের তলায় নেমে ভাল করে দেখেছেন। সিসি ক্যামেরা আছে। সেটিও পরীক্ষা করে দেখছেন। কেন গার্ডওয়াল ভেঙে পড়ল, তার কারণ খোঁজা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আপাতত একটা হাইট বার বসিয়ে ওভারলোড গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে বাস ও ছোট গাড়ি চলবে। আমরা বলেছি, দ্রুত সংস্কার করতে। ওই সেতুর পাশে আর একটি সেতুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আগেই। সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)