আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুনের ঘটনার পরে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বেশ কিছু পরিকাঠামোর গলদ সামনে এসেছিল। কালনা মহকুমা হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়েও বেশ কিছু প্রস্তাব দেন চিকিৎসক, নার্সেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, যে সমস্ত পরিকাঠামো বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তার ৯০ শতাংশ কাজ হয়েছে। যদিও রোগীর পরিজনেদের দাবি, হাসপাতালের নিরাপত্তায় খামতি রয়েছে এখনও।
মহকুমা হাসপাতালের গা ঘেঁষে রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। পুরো এলাকা জুড়ে সিসিটিভি, হাইমাস্ট আলো, নার্সদের আবাসন সংস্কার, রাস্তা তৈরি, একাংশে কাঁটাতার লাগানো, চিকিৎসক, নার্সদের বসার জায়গা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বসানো-সহ বেশ কিছু পরিকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং বর্ধমান পূর্বের সাংসদ শর্মিলা সরকার বৈঠক করেন। মহকুমা হাসপাতালের সুপার চন্দ্রশেখর মাইতির দাবি, ‘‘ওই সময় যে সমস্ত পরিকল্পনাগুলি হাতে নেওয়া হয়েছিল, তার ৯o শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।’’
আর জি করের ঘটনার পরে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে সব থেকে বেশি প্রশ্ন উঠেছিল। এক সময়ে এই হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ২৪ জন সিভিক এবং আট জন পুলিশ কর্মী। আদালতে নির্দেশের পরে সরানো হয় সিভিক কর্মীদের। কয়েক জন পুলিশকর্মী বাড়ানো হয়। তবে এলাকা অনুযায়ী নজরদারির জন্য পুলিশ কর্মী কমই, দাবি রোগীর পরিজনেদের। হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যাও বাড়েনি। জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত রক্ষীর অভাবে মহকুমা হাসপাতালের দ্বিতীয় দরজা বন্ধ করে দিতে হয়। ময়না তদন্ত হলে মর্গের সামনে দরজা খোলা হয়। বাকি সময়ে সেই দরজাও বন্ধ থাকে। এক রোগীর আত্মীয় মঞ্জু শর্মা বলেন, ‘‘বেশ কিছু পরিকাঠামো বেড়েছে ঠিকই, তবে প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা অনেক কম রয়েছে দুই হাসপাতালে। এ দিকে নজর দিতে হবে।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কত সংখ্যায় পুলিশ কর্মী থাকবেন, তা পুলিশ কর্তারাই ঠিক করেছেন। যদিও কালনার এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, ‘‘আমাদের ওখানে যা পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে সমস্যা হচ্ছে না।’’