এখন শহরের শ্মশান মানেই ইলেকট্রিক ও গ্যাসের চুল্লি। বর্ধমানের শ্মশানেও রয়েছে তেমন দু’টি চুল্লি। সেই দু’টিই এখন অচল। ফলে শ্মশানের অবস্থা বেহাল। শেষকৃত্যের জন্য পোহাতে হচ্ছে হ্যাপা! বর্ধমানবাসীর অভিযোগ, ‘‘মরেও শান্তি নেই’’।
বৃহত্তর বর্ধমানে শব দাহ করার জন্য একটি মাত্র শ্মশান আছে। পুরনো সেই নির্মল ঝিল শ্মশানে গ্যাস চুল্লি বসেছিল বাম আমলের শেষের দিকে। বর্তমানে তা বন্ধ। প্রাক্তন বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় যখন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন তখন শ্মশানে বসানো হয়েছিল ইলেকট্রিক চুল্লিটি। তবে গত বুধবার থেকে যান্ত্রিক বিভ্রাটে সেই চুল্লিও বন্ধ। এখন শেষকৃত্যের ভরসা বলতে তিনটি পুরনো কাঠের চুল্লি। তবে বৃষ্টির মরশুমে কাঠ ভিজে থাকার জন্য সৎকারে দীর্ঘ সময় লাগছে। এমনকি ছয়-সাত ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছে। একাধিক মরদেহ থাকলে সৎকারের জন্য মৃতের পরিজনদের দিতে হচ্ছে লাইনও। বাইরে থেকে কাঠ কেনার জন্য চড়া দাম দিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা এই পরিস্থিতিকে পুরসভার ‘অপদার্থতা’ বলে দাবি করেছেন। বিজেপি যুব মোর্চা নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায়ের অভিযোগ, সব জায়গায় কাটামানি কালচার চলছে। কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, ‘‘পুরসভার অফিস তুলে দিয়ে তা শাসকদলের পার্টি অফিস করে দেওয়া হোক।’’
শ্মশান বিভ্রাট প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, সমস্যার কথা তিনি জানতে পেরেছেন অনেক পরে। তবে তা শুনেই তিনি নিজে শ্মশান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। দেখেছেন পাঁচ-ছটি দেহ আটকে আছে। তিনি জানাচ্ছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই শোচনীয় অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন,‘‘এই অসুবিধার জন্য বর্ধমানবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’ তবে পুরপ্রধানের প্রতিশ্রুতি, দু’টি চুল্লি ঠিক করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাজে লাগানো হয়েছে।