• জমা জল থেকে শহরের রাস্তা বাঁচাতে উদ্যোগ, ৯৯ ‘স্পটে’ কংক্রিট ব্লক
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সামনেই শারদোৎসব। তাই বৃষ্টি একটু ধরতেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় শুরু হয়ে গিয়েছে মেরামতির কাজ। টানা বৃষ্টি ও জল জমার কারণে রাস্তায় যেসব খানাখন্দ হয়েছে, এখন সেখানে জোড়াতাপ্পি দেওয়ার কাজ চলছে। এর মধ্যে যেসব অংশে জল জমার সমস্যা বা প্রবণতা বেশি রয়েছে,  সেখানে বসানো হচ্ছে কংক্রিট ব্লক। কারণ, এই রাস্তা সাধারণ বিটুমিন বা পিচের রাস্তার থেকে অনেক বেশি টেকসই। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মোট ৯৯টি ‘স্পট’ বা ‘স্ট্রেচ’ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বসানো হবে কংক্রিটের ব্লক। 

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে হাওড়া ব্রিজে ওঠার অ্যাপ্রোচ রোডে এই ধরনের ব্লক বসিয়ে রাস্তার হাল ফেরানো হয়েছে। মোমিনপুর মোড় থেকে বর্ধমান রোডগামী ডায়মন্ডহারবার রোড সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তায় ইট ফেলা হয়েছে এখন। জল জমার সমস্যা থাকায় এখানেও কংক্রিটের ব্লক বসানো হবে। সায়েন্স সিটির উল্টোদিকে বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণের সামনে ই এম বাইপাস থেকে পার্ক সার্কাস কানেক্টরে ১৮০ মিটার অংশে কংক্রিটের ব্লক বসানোর কাজ চলছে। পুরসভার সড়ক বিভাগ সূত্রে খবর, শহরের বিভিন্ন রাস্তা মিলিয়ে প্রায় ৩১ হাজার মিটার অর্থাৎ ৩১ কিলোমিটার অংশে কংক্রিটের ব্লক বসিয়ে রাস্তা মেরামতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

    সড়ক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে, শহরের এরকম বেশ কয়েকটি স্পট আমরা চিহ্নিত করেছি। জল জমলে পিচের রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মেয়রের নির্দেশে এই সমস্ত লোকেশনে আমরা কংক্রিটের ব্লক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কয়েকটি জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে শহরের প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার বর্গমিটার অংশে কংক্রিট ব্লক বসানো হবে।’ এই ধরনের রাস্তার সুবিধা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুরসভার পদস্থ এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়টা তো আছেই। তাছাড়া, কংক্রিট ব্লকের রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করতে গেলেও তেমন ঝামেলা থাকে না। প্রয়োজনে ব্লকগুলি তুলে মাটির নীচের পাইপলাইন সংস্কার বা অন্য কোনও কাজ করা যাবে। কাজ হয়ে গেলে মাটি বা বালি দিয়ে ব্লকগুলি বসিয়ে দিলেই রাস্তা ফিরে আসবে আগের অবস্থায়।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সব শহরেই রাস্তার কাজে কংক্রিট ব্লক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।
  • Link to this news (বর্তমান)