• তিলপাড়া ব্যারাজের অবস্থা পরিদর্শন সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের ৩ কর্তার
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: রবিবার ক্ষতিগ্রস্ত তিলপাড়া ব্যারাজ পরিদর্শন করলেন সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের ডিরেক্টর এসকে শর্মা সহ তিন আধিকারিক। রাজ্য সেচদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস সেনগুপ্ত সহ জেলার আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের ডিরেক্টর সহ আধিকারিকরা ড্যাম বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদের বাতলে দেওয়া সংস্কারের কাজের রূপরেখায় সিলমোহর দিয়েছেন। মূল লক্ষ্য বর্ষার মরশুমে ব্যারাজটিকে টিকিয়ে রাখা। তবে, জরুরি পুনর্বাসনের কাজ শেষ হওয়ার পরেও ব্যারাজের উপর থাকা সেতু দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। এবিষয়ে সেচদপ্তরের আধিকারিকরা জানান, সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। সেচদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, অত্যধিক গাড়ির চাপ সহ একাধিক কারণে ব্যারাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আয়ু বলে একটা বিষয় আছে। তবে, এই মুহূর্তে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য, এই নির্মাণটিকে টিকিয়ে রাখা। সেক্ষেত্রে দ্রুত সংস্কারের কাজ শেষ করার চেষ্টা রয়েছে। তবে সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর ব্যারাজের উপর থাকা সেতু দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি আগামীতে বিবেচনা করে দেখা হবে।

    তিলপাড়া ব্যারাজের বয়স আনুমানিক ৭৪ বছর। স্বাভাবিকভাবেই বয়সের ভারে অনেকটাই নুব্জ এই ব্যারাজ। তবে সঠিক কী কারণে এই ব্যারাজ এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও বিষয়টি সেচদপ্তরের কর্তাদের ভাবিয়ে তুলছে। তবে, এই মুহূর্তে ক্ষতির কারণ খোঁজা ছেড়ে বর্ষার মরশুমে ব্যারাজ টিকিয়ে রাখাই সেচদপ্তরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে জুলফিকার আহমেদের দেখানো পথেই শনিবার সকাল থেকে ব্যারাজ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সেচদপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ১২ টন ওজনের একেকটি বোল্ডারের ব্লক তৈরি করা হবে। তারপর সেগুলি ডাউন স্ট্রিমে তৈরি হওয়া গর্তগুলিতে ধাপে ধাপে বসানো হবে। সেইসঙ্গে ব্যারাজের যে অংশগুলিতে ফাটল ধরেছে সেখানে প্রথম ধাপে ‘স্যান্ড রাউটিং’ করা হবে। সেই কাজ শুরু হওয়ার পর কংক্রিটের প্রলেপ দেওয়া হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যারাজের ডাউন স্ট্রিমে এখন ধাপে ধাপে সেই কাজই চলছে। আগামীতে এই কাজে আরও গতি আনা হবে বলে সেচদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। লক্ষ্য একটাই, অতিদ্রুত সংস্কারের কাজ শেষ করা।

    এদিন ব্যারাজ পরিদর্শন শেষে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের ডিরেক্টর সহ তিন আধিকারিক সেচদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সারেন। ব্যারাজ সংলগ্ন সেচদপ্তরের অফিসে সেই বৈঠক চলে। বৈঠকে মূলত সংস্কারের কাজের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেচদপ্তর সূত্রে খবর, পরিদর্শন শেষে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের আধিকারিকরা ব্যারাজের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কথায়, ব্যারাজের স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো নয়। এক্ষেত্রে বর্ষার মরশুমে জরুরি পুনর্বাসনের কাজ কতটা দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে, তা এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এই জরুরি পুনর্বাসন কাজের উপরই ব্যারাজের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)