• ব্লক-বুথে সভাপতি বদল চায় তৃণমূল, কলকাতায় ডাক জেলার নেতাদের
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস নজরকাড়া ফল করলেও শহরগুলি কাঁটা হয়ে রয়েছে। বর্ধমান, কাটোয়া, মেমারি, কালনা, গুসকরা এবং দাঁইহাট শহরের বহু বুথে শাসক দল পিছিয়ে রয়েছে। কেন দল শহরগুলিতে পিছিয়ে পড়ল, তা নিয়ে শাসক দলের সহযোগী সংস্থা পর্যালোচনা করেছে। তাতে মূলত দু’টি দিক উঠে এসেছে। প্রথমত, কাউন্সিলারদের সেলিব্রিটি চালচলন। দ্বিতীয়ত, ওয়ার্ড এবং বুথস্তরের নেতাদের লাগামহীন দাপট। কাউন্সিলারদের ক্ষেত্রে এখনই দল ব্যবস্থা নিতে না পারলেও চিহ্নিত দলীয় নেতাদের সবক শেখাতে মরিয়া নেতৃত্ব। তাদের সরিয়ে নতুন মুখ তুলে আনা হবে। এলাকায় যাদের জনসংযোগ রয়েছে, যারা এখনও সেলিব্রিটি আদবকায়দায় অভ্যস্ত হয়নি, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ আগস্ট জেলার নেতাদের কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। সভাপতি, দলের চেয়ারম্যান এবং বিধায়কদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। ওইদিন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি পরিবর্তনের বার্তাও দেওয়া হবে। দলের এক নেতা বলেন, জেলায় কয়েকজন পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য অনেককে টোপ দিচ্ছে। নিজেদের প্রভাবশালী-ঘনিষ্ঠ হিসেবে প্রচার করে তারা দলের একাংশকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। কিন্তু, সেসব কিছু হবে না। সহযোগী সংস্থার পারফরম্যান্স রিপোর্ট বদলের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে। বুথ, ওয়ার্ড এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্লক সভাপতি বদল করা হবে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকেই নতুন তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। সহযোগী সংস্থা ইতিমধ্যে নেতাদের সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড় করেছে। তারা বুথস্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিটি ব্লক, বুথ এবং ওয়ার্ড সভাপতিদের সম্পর্কে তারা বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছিল। নতুন কাকে বসালে সংগঠন আরও ভালোভাবে চলবে, সেটাও তারা নথিভুক্ত করেছে। সবকিছু যাচাই করার পরই তালিকা প্রকাশ করা হবে। 

    দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শাখা সংগঠনগুলিতেও ব্লকস্তরে রদবদল করা হবে। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই পুজোর আগেই সংগঠন সাজিয়ে কোমর বেঁধে শাসক দল ময়দানে নামতে চলেছে।

    তৃণমূল সূত্রে খবর, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে গোষ্ঠী কোন্দল থাকলেও সংগঠন মজবুত রয়েছে। কিন্তু, শহরগুলিতে ভিত ততটা মজবুত নয়। সেই কারণে সাংগঠনিক রদবদলে শহরগুলিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, চার থেকে পাঁচটি ব্লকে বিধায়কদের সঙ্গে সভাপতিদের কাজিয়া তুঙ্গে উঠেছে। বারবার নেতৃত্ব সতর্ক করার পরও তেমন লাভ হয়নি। ওই ব্লকগুলিতে নেতৃত্ব পদক্ষেপ নিতে পারে। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে কিছু বলার নেই। নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই সকলকে মানতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)