নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাত্র ২০ টাকার জন্য সহপাঠীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে। ঘটনার ভিডিও (সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’) করে সেটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।
নিগৃহীত ছাত্র এতটাই আতঙ্কিত, মারধরের ভয়ে সে আর স্কুলে যেতে চাইছে না বলে পরিবারের দাবি। বাড়ির লোকেদের আরও অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষককে বিষয়টি জানানোর পরেও সেই অর্থে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, ঘটনাটি জানার পরেই অভিযুক্ত ছাত্রকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দু’পক্ষকে ডেকে কথা বলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্কুল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। সেই সময় অভিযুক্ত ছাত্র তার সহপাঠীকে পরের দিন বাড়ি থেকে ২০ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয়। সে মানতে না চাইলে মারধর করা হয়। বৃহস্পতিবার নিগৃহীত ছাত্রটি পরীক্ষা দিতে গেলে তার কাছে সেই টাকা দাবি করা হয়। সেদিনও ছাত্রটি টাকা দিতে পারেনি। এরপরই তাকে সিসি ক্যামেরার নজরদারির বাইরে থাকা স্কুলেরই একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই ভিডিও নিজের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে অভিযুক্ত। পরবর্তীতে সেটি তার সমাজমাধ্যমের প্রোফাইলে আপলোড করেছিল। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই টনক নড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের। যদিও পরিবারের দাবি, নিগৃহীত ছাত্রের কাছ থেকে ঘটনার কথা জানার পরেই তাঁরা স্কুলের এক শিক্ষককে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত করেননি। অন্যদিকে, কীভাবে মোবাইল ফোন নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্র স্কুলে ঢুকেছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ অভিভাবক।
প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, ঘটনাটি এদিনই জানতে পেরেছি। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ও নিগৃহীত ছাত্র এবং তাদের পরিবারকে ডেকে কথা বলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।