• অনিয়ম, একাধিক দোকানে সারের বিক্রি বন্ধের নির্দেশ
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চোপড়া: ধানের মরশুমে সারের কালোবাজারি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ চোপড়ায়।  নির্ধারিত দামে সার না পেয়ে ক্ষুব্ধ চোপড়ার কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে সার কিনতে  হচ্ছে। কৃষিদপ্তর ই-পস মেশিনের মাধ্যমে সার বিক্রি বাধ্যতামূলক করলেও  সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে কৃষকদের দাবি। এতে অসন্তোষ দানা বাঁধছে চোপড়া ব্লকের প্রান্তিক এলাকার কৃষকদের মধ্যে। সার বিক্রিতে অনিয়মের কথা কানে গিয়েছে কৃষি আধিকারিকদের কাছেও। দপ্তর ইতিমধ্যে বেশকিছু সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

    ইসলামপুর মহকুমা কৃষি অধিকর্তা মেহেফুজ আহমেদ বলেন, চোপড়ায় অল্প দিনে অধিক পরিমাণ সার বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে শোকজ করা হয়েছে।  দুই ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। 

    চোপড়ার চাষিদের বক্তব্য, প্রতি বছর ধানের মরশুমে সারের দাম বেড়ে যায়। তাঁদের অভিযোগ, এবছরও এমআরপির থেকে অনেক বেশি দাম নিচ্ছে দোকানদাররা। আমন ধানে সার প্রয়োজন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দোকানদার কালোবাজারি করছে। ই-পস মেশিনে সার বিক্রির নিয়ম থাকলেও অনেক ব্যবসায়ী তা  মানছেন না। ফলে লেনদেনের কোনও সঠিক হিসেব থাকছে না দোকানদারের কাছে।

    কৃষিদপ্তর সূত্রের খবর, চোপড়ার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ই-পস মেশিনও ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছেন না।

    কোটগছের কৃষক মজিবুল হক বলেন, যেভাবে রাসায়নিক সারের দাম বাড়ছে, তাতে কৃষিকাজে খরচ আরও বাড়বে। চাষি সহদেব শর্মার কথায়, নির্ধারিত দামের থেকে বস্তা পিছু  ৩০০-৫০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এমআরপি রেটে কোনও ডিলার সার দিচ্ছে না। নির্ধারিত মূল্যে সার না পেয়ে হতাশ কৃষকরা। ব্লকের সর্বত্র সারের কালোবাজারির অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আলমারা বেগম। তিনি বলছেন, দু-এক জায়গায় কৃষকদের কাছ থেকে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের থেকে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি কৃষিদপ্তরের নজরে আনা হয়েছে। ইসলামপুর মহকুমা কৃষি অধিকর্তার দাবি, কালোবাজারি রুখতে নিয়মিত অভিযান চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)