রাজ্যে আধিকারিকদের সাসপেন্ড করার বিষয়ে এর আগে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দুটি চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত কেন দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) ও দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (এইআরও) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না? আজ, সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যেই এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছিল মুখ্যসচিবকে। এবার এই ইস্যুতে মুখ্যসচিবকে তিন নম্বর চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন।
ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের ৪ সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে সম্প্রতি মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। প্রথম চিঠিতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ না করায় ফের চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। আজ দুপুর তিনটের মধ্যে মুখ্যসচিবকে সেই উত্তর দিতে হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। এখনও কেন কমিশনের নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি তা জানতে এবার আরও এক চিঠি মুখ্যসচিবকে পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সাসপেন্ড ইস্যুতে তিন নম্বর চিঠি মনোজ পন্থকে পাঠাল কমিশন।
বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী ও এইআরও তথাগত মণ্ডল এবং ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার ও এইআরও সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠায় কমিশন। সুরজিৎ হালদার নামের এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। গত ৫ আগস্ট মুখ্যসচিবকে প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। ৮ আগস্ট এবিষয়ে মুখ্যসচিবকে মনে করাতে ফের একবার চিঠি পাঠানো হয়। এবার তিন নম্বর চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।