• বালিগঞ্জ: সারানো হচ্ছিল গ্রিল, ফ্ল্যাটের চারতলার জানলা থেকে পড়ে মৃত্যু আইনজীবীর
    আজ তক | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • বালিগঞ্জের বহুতল আবাসন চত্বর থেকে উদ্ধার আইনজীবীর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, চারতলায় নিজের ফ্ল্যাটের জানলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। মৃতের নাম কৌস্তভ দাস। বয়স ৫২ বছর। পেশায় কলকাতা হাই কোর্টের অভিজ্ঞ আইনজীবী। পরিবারে স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান রয়েছেন। আবাসনের চারতলায় তাঁদের ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটে স্লাইডিং ধরনের জানলা আছে। জানা গিয়েছে, মেরামতের কাজের জন্য গ্রিল খোলা ছিল। শনিবার রাতে সেই খোলা জানলার কাছে বসে ছিলেন কৌস্তভবাবু। হঠাৎ করেই তিনি নিচে পড়ে যান।

    তীব্র শব্দে কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পেয়ে আবাসনের অন্য বাসিন্দারা ছুটে আসেন। নিচে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় কৌস্তভকে দেখতে পান। দ্রুত তাঁকে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জানলার ধারে বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ মাথা ঘুরে গিয়ে কৌস্তভবাবু ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তাতেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। তবে তদন্তকারী আধিকারিকদের বক্তব্য, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হবে।

    আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, জানলার মেরামতির সময় উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারত। বিশেষ করে বহুতলে গ্রিল খোলা অবস্থায় দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা বিপজ্জনক।

    কৌস্তভ দাসের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হাইকোর্টের আইনি মহলে। শোকস্তব্ধ আবাসনের বাসিন্দারাও। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি পেশাদার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ আইনজীবী ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে শান্ত, নম্র স্বভাবের মানুষ ছিলেন।

    পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তবে বহুতলে এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে যে এখনও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সচেতনতার অভাব আছে। এই ঘটনাতে আরও একবার তার প্রমাণ মিলল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
  • Link to this news (আজ তক)