• ঢাকে কাঠি পড়ে গেল শিয়ালদহ-রানাঘাট এসি লোকালের, সোমবার থেকেই উঠতে পারবেন যাত্রীরা...
    আজকাল | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শহরতলি বা জেলা থেকে কলকাতার সংযোগকারী অন্যতম পরিবহণ ব্যবস্থা লোকাল ট্রেন। আর পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন এবং এই লাইনের যাত্রীদের জন্য রবিবার এক স্মরণীয় দিন। লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করা যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক যাত্রার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হল এদিন। রবিবার শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে শিয়ালদহ-রানাঘাট রুটে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এয়ার কন্ডিশন্ড ইএমইউ লোকাল ট্রেনের উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রের শিক্ষা সুকান্ত মজুমদার এবং বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ও জগন্নাথ সরকার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরাও। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী মিলিন্দ দেওস্কর, শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম শ্রী রাজীব সাক্সেনা এবং পূর্ব রেলের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন এদিন। রবিবারেই প্রথমবারের জন্য শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত চলল লোকাল ট্রেন। তবে, এদিন কমার্শিয়াল রান হয়নি। সোমবার থেকে যাত্রীদের জন্য চালু হয়ে যাবে এসি লোকাল। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেওস্কর এদিন জানান, ‘শিয়ালদহ-রানাঘাটের মধ্যে চালু হওয়া এই এসি পরিষেবা পূর্ব ভারতের ইতিহাসে প্রথম। এই ট্রেন সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে চলবে। যাতে যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন।’

    অন্যদিকে, সাংসদ জগন্নাথ সরকার যাত্রীদের মান্থলি টিকিট কেনার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, এই জনপ্রিয় এসি লোকাল পরিষেবাকে সমর্থন করার কথাও বলেন তিনি। যাতে ভবিষ্যতে এই আরামদায়ক এসি লোকাল ট্রেন পরিষেবা আরও বাড়ানো যায়। শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘শিয়ালদহ থেকে এসি লোকাল চালুর ফলে শহরতলি থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত হবে।’ প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘পূর্ব রেল শিয়ালদহ-রানাঘাটের মধ্যে প্রথম এসি লোকাল চালিয়ে ইতিহাস গড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রেল বাজেট বরাদ্দের ঐতিহাসিক বৃদ্ধি, অমৃত ভারত স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্প, এক স্টেশন এক পণ্য পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে’।

    রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যেতে ট্রেনটি দাঁড়াবে চাকদহ, কল্যাণী, কাঁচড়াপাড়া, নৈহাটি, ব্যারাকপুর, খড়দহ, সোদপুর, দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে। মাঝের বেশ কিছু স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াবে না। ট্রেনের এই যাত্রা প্রসঙ্গে শিয়ালদহ ডিভিশনের সিনিয়র জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, 'যেহেতু একটি গ্যালপিং লোকাল ট্রেন হিসেবে এই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ট্রেনটি আপাতত চালানো হবে সেজন্য সব স্টেশনে এই ট্রেন দাঁড়াবে না।' এই মুহূর্তে দিনে দু'বার এই ট্রেনটি চালানো হবে।

    রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রানাঘাট স্টেশন থেকে ট্রেনটি দিনের ব্যস্ত সময়ে বা অফিস আওয়ার্স-এ শিয়ালদহর দিকে যাত্রা করবে। আবার সন্ধ্যায় ট্রেনটি শিয়ালদহ ছেড়ে রানাঘাটের দিকে যাত্রা করবে। জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে রানাঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে এই ট্রেন শিয়ালদহে পৌঁছবে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি রওনা হয়ে রানাঘাট পৌঁছবে রাত ৮টা ৩২ মিনিটে। রেল জানিয়েছে, শিয়ালদহ থেকে দমদম, ব্যারাকপুর, নৈহাটি এবং রানাঘাট পর্যন্ত একপিঠের ভাড়া যথাক্রমে ৩৫, ৬০, ৯০ এবং ১২০ টাকা। যার অর্থ ট্রেনে উঠতে গেলেই রেলকে দিতে হবে ৩৫ টাকা।
  • Link to this news (আজকাল)